বাস চাপায় নাদিয়ার মৃত্যু: সড়ক অবরোধে শিক্ষার্থীরা
২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪৪ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪৬
ঢাকা: বাসচাপায় বেসরকারি নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলা ব্রিজের নিচে অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, চার দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সোমবার (জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধের কারণে খিলক্ষেত থেকে উত্তরাগামী উভয় পাশের সড়কের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। নাদিয়ার ক্ষতিপূরণ ও বিচারের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো—
১। ভিক্টর ক্লাসিক বাসের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে।
২। নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩। চালক ও হেলপারের গ্রেফতারের বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে হবে।
৪। কাওলা এলাকায় একটি বাস স্টপেজ করতে হবে।
আন্দোলনরত নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশরাফ জাহিদ বলেন, ‘আমাদের বোন মারা গেছে, একজন শিক্ষার্থী মারা গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে কারও কি কোনো দায়িত্ব নেই? আমাদের ৪ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না। নাদিয়ার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে এখনও কোনো ঘোষণা আসেনি। ভিক্টর পরিবহন এখনও চলছে এ সড়কে। তাই দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা সড়ক ছেড়ে যাব না।’
দুপুর ১টার দিকে দেখা যায় দূরপাল্লার বাসগুলোর জন্য আলাদা একটি লেন করে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন ও জরুরি সেবার বিভিন্ন গাড়িকে যেতে দিচ্ছেন তারা।
এর আগে, রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টায় প্রগতি সরণীতে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন নাদিয়া। মাত্র ১৫ দিন আগে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে প্রগতি সরণি এলাকায় গিয়েছিলেন নাদিয়া। তাদের মোটরসাইকেলটিকে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয়। এতে নাদিয়া মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় পড়ে বাসের সামনের চাকায় পিষ্ট হন। তার মোটরসাইকেল চালকবন্ধু অক্ষত ছিলেন।
এদিকে আজ সকালে রাজধানীর বাড্ডার আনন্দনগর থেকে ঘাতক বাসের চালক লিটন ও সহকারী আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/একে