১৭তম স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৬ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৩৭
রংপুর: পীরগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে ১৬ বছর আগে স্ত্রী তানজিনা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় স্বামী আবু সাঈদকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ এই আদেশ দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তাজিবুর রহমান লাইজু বলেন, ‘আসামি আবু সাঈদ একজন লোভী মানুষ। তার একাধিক বিয়ের প্রমাণ রয়েছে। ভিকটিম তানজিনা তার ১৭তম স্ত্রী, আর তাসকিরা ১৮তম স্ত্রী।’
তিনি জানান, তানজিনা হত্যা মামলার ঘটনায় স্বামী আবু সাঈদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে। কিন্তু মামলায় সাক্ষী না পাওয়া যাওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ অপর স্ত্রী তাজকিরার সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে পারেনি; এজন্য তাকে আদালত খালাস দিয়েছেন।
তবে আসামি আবু সাইদ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত ১২ বছর ধরে পলাতক। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিশেষ পিপি তাজিবুর রহমান লাইজু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আবু সাঈদ বিয়ের পর থেকেই তানজিনার কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করতো। এ নিয়ে প্রায় সময়েই তাকে মারধর করা হতো। ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি যৌতুকের টাকা দাবিতে তানজিনাকে নিজ বাড়িতে মারধর করে আবু সাঈদ। একপর্যায়ে যৌতুকের টাকা না পেয়ে আবু সাঈদ তার অপর স্ত্রী তাসকিরা বেগমের সহায়তায় তানজিনাকে মারধর করে হত্যার পর বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখেন। পরদিন তানজিনার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তানজিনার বাবা তাজিম উদ্দিন এ ঘটনায় আবু সাঈদ ও তার অপর স্ত্রী তাসকিরা বেগমের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ১৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত ৩০ জুলাই মামলার অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেন এবং বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর ২০১০ সালের ২৬ জুলাই আসামি আবু সাঈদ আদালত থেকে জামিন নেন।
তবে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনি পলাতক রয়েছেন।
এদিকে তানজিনা হত্যা মামলার অপর আসামি তাসকিরা বেগম ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিন পান। এরপর ২০১৪ সালের ১৮ মে থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনিও পলাতক। তবে হত্যার ঘটনায় তাসকিরার সম্পৃক্ততা না থাকায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।
সারাবাংলা/এমও