তারেক রহমান ও মামুনের পাচার করা ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান
১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:২৯ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:০১
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পাচার করা ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, ওই টাকা যে ব্যাংকের ভোল্টে রয়েছে সেটি তারেক রহমান এবং মামুনের আই কন্ট্যাক্ট ছাড়া বের করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে টাকাগুলো ফেরত আনা যাচ্ছে না।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ সব কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ওই আলোচনায় আরও অংশ নেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা, সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী, উম্মে কুলসুম স্মৃতি ও ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এবং বিরোধী দল জাতীয় পর্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য স্বপন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর পাচার করা ৪০ কোটি টাকা এফবিআইয়ের সহায়তায় বাংলাদেশ ফেরত এনেছে। তারেক এবং মামুনের আরও টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিদেশের একটি ব্যাংকে তারেক এবং মামুনের ৫০০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, ওই ব্যাংকের যে ভোল্টে তারা টাকা রেখেছে সেই ভোল্ট তারেক ও মামুনের আই কন্ট্যাক্টে ছাড়া খুলবে না। ফলে টাকাগুলো এ মুহূর্তে ফেরত আনা যাচ্ছে না। তবে তারেক-মামুনসহ বিএনপি নেতাদের বিদেশে পাচারকৃত টাকার হিসাব দ্রুতই প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘তারেক রহমান ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে পলায়ন করেছে। আর মামুন এখন দুর্নীতির সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগে কারাগারে। শুধু তারেক আর মামুন নয়, বিএনপির অনেক নেতার বিদেশের বিভিন্ন দেশে টাকার হদিস পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে। এই কারণে এই মুহূর্তে আমরা এটি সংসদে উপস্থাপন করতে পারছি না। তবে অচিরেই তারেক মামুনসহ বিএনপির নেতাদের এই সমস্ত পাচারকৃত টাকার তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং টাকাগুলো ফিরিয়ে এনে জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করা হবে।’
বিদ্যুৎ উৎপাদনে আওয়ামী লীগ সরকারের সফলতা তুলে ধরে আবু সাঈদ আল মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির আমলে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান কোকো এবং তার বন্ধু মামুনের লুটপাটের কারণে, খাম্বা তারেকের লুটপাটের কারণে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। আজকে বাংলাদেশ ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোথে সরকার বদ্ধপরিকর। নারীর ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কোন মেয়ে যেন বাল্য বিয়ের স্বীকার না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
নারীর ক্ষমতায়নে সরকার ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জয়িতা ফাউন্ডেশন নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাগণ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করছে। ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের মাধ্যমে এক কোটি নারীকে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে। দেশের ৬৪ টি জেলায় শিক্ষিত নারীকে কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদান, তৃণমূল পর্যায়ের ২ লাখ ৫৬ হাজার প্রান্তিক নারীকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নানামূখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে