Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তারেক-জোবাইদার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ প্রতিহিংসামূলক ও ফরমায়েশি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৭

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা অবান্তর, ভিত্তিহীন, অমূলক। যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা প্রতিহিংসামূলক ও ফরমায়েশি।

তিনি বলেন, ‘এসব মামলা, আদেশ, রায় দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত বা ডা. জোবাইদা রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পারবে না এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলন বিভ্রান্ত বা নস্যাৎ করতে পারবে না।’

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমান ব্যর্থ, দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এই প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির শিকার স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তথা জিয়া পরিবার এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।’

তিনি বলেন, ‘১/১১ জরুরি, অবৈধ, অনৈতিক সরকার দেশকে বিরাজনীতিকরণের লক্ষ্যে মাইনাস-টু ফর্মূলাসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের মিশন সফল করতে চেয়েছিল। সে সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র তারেক রহমানের স্ত্রী এবং জিয়া পরিবারের সদস্য হওয়ায় ডা. জোবাইদা রহমানকেও আসামি করা হয়।’

বিজ্ঞাপন

‘জনগণের কাছে রাজনীতিকে এবং একই সঙ্গে স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র, উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ধারক ও বাহক জিয়া পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন ও বিতর্কীত করার অপচেষ্টায় বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এবং অপরাপর রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়। ১/১১ জরুরি অবৈধ সরকারের ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের মামলাগুলো বিভিন্ন উপায়ে স্থগিত বা প্রত্যাহার করলেও বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমানসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো অব্যাহত রেখে সেগুলো ফরমায়েশি রায় দিয়ে তাদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করেছে। যা আজও অব্যাহত’, বলেন ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আজ এমন এক সময় তারেক রহমান এবং জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোক করার ফরমায়েশি আদেশ দেওয়া হলো, যখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হিরন্ময় নেতৃত্বে বর্তমানে ব্যর্থ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলন চলছে। ব্যাপক জনসম্পৃক্ত এই আন্দোলনে সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দমন করার জন্য গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যা করছে। বাধা, প্রতিবন্ধকতা, গ্রেফতার মিথ্যা মামলা দিয়ে নিষ্ঠুর দমন নিপীড়ন চালিয়েও আন্দোলন নসাৎ করতে পারছে না, জনস্রোত ঠেকাতে পারছে না।’

‘তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্তমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মনোবল বিনষ্ট করতে সরকারের ইঙ্গিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি এবং চলমান আন্দোলনকে নেতৃত্ব শুন্য করতে প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগে মামলা ও রায় দিয়ে গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে। দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে’, বলেন ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যে সব সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোন দলিলে বা চুক্তিতে যেখানে তারেক রহমানের নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নেই, তাকে সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান এবং ডা. জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।

সারাবাংলা/এজেড/এমও

টপ নিউজ তারেক-জোবাইদা প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশি সম্পত্তি ক্রোক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর