ঢাকা: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যেন নাভিশ্বাস রাজধানীবাসীর। তবে মাছ ও মুরগির দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে সবজির দাম। ফলে শীতকালীন সবজিতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। প্রতিকেজি মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। আর মাছ ভেদে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও বসুন্ধরা কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০-২৩০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা চাকরিজীবী সোলায়মান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এভাবে জীবন চলতে পারে না। এক প্রকার নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। বেতন বাড়ছে না। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১০ টাকা বেড়েছে। গরু কিংবা খাসির মাংসে হাত দিতে পারি না। এখন মনে হচ্ছে ব্রয়লার খাওয়ায় বন্ধ করতে হবে। এভাবে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের বেঁচে থাকা কষ্টকর।’

ছবি: সারাবাংলা
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, চাষের কই প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা, পাঙাস ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, রুই মাছের কেজি ৩০০ টাকা, কাতল মাছের কেজি ২৮০ টাকা, শিং ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া কেজি ২৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ টাকা, রূপচাঁদা ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শোল মাছের কেজি ৭৫০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের মাছে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা রাসেল সারাবাংলাকে বলেন, ‘মাছের বাজার বেশ চড়া। দক্ষিণবঙ্গ থেকে মাছ আসছে কম। প্রচণ্ড কুয়াশা। ফেরি বন্ধ। পরশু দিনের মাছে আজকে বাজারে আসছে। এভাবে মোকামে মাছ কম আসলে কি করার আছে? মাছ বেশি থাকলে দাম কমে, আর বাজারে মাছ কম থাকলে দাম বাড়ে। আমরা যেমন কিনি তেমন বিক্রি করি। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।’

ছবি: সারাবাংলা
অপরদিকে শীতকালীন সবজিতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে, বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রতি পিছ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। শসার কেজি ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লাউ প্রতি পিছ ৬০ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা ও ধুন্দল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল ১ লিটার ১৬৭ টাকা, চিনির কেজি ১১৫-১২০ টাকা, প্রতিকেজি মসুর ডাল ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বসুন্ধরা কাঁচাবাজারে বাজারে এসেছেন সরকারি চাকরিজীবী রাশেদা আক্তার। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহের চেয়ে শীতকালীন সবজিতে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে বেগুন কিনেছি ১০০ টাকা দিয়ে, যা আজকে কিনলাম ৮০ টাকায়। এছাড়া বাঁধাকপির দামও কমেছে।’