জ্বালানির দাম বৃদ্ধি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে: ডিসিসিআই
৭ আগস্ট ২০২২ ১৮:৪১
ঢাকা: বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমান্বয়ে কিছুটা কমে আসার পরও সরকার (৫ আগস্ট) ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন মূল্য সাড়ে ৪২ শতাংশ থেকে ৫২ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা দেশের আপামর জনগণের জীবনযাত্রার পাশাপাশি সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
রোববার (৭ আগস্ট) ডিসিসিআই‘র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল হাসান ফজলে রাব্বির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
ডিসিসিআই‘র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কোভিড মহামারির প্রভাব কমে আসার পর, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতির সঞ্চার হওয়ার মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিতে পুনরুজ্জীবনের একটি প্রতিফলন পরিলক্ষিত হচ্ছিল। এমতাবস্থায় চলতি বছরের জুনে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং গত ৫ আগস্ট ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারের বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খাতে খরচ বৃদ্ধির মাধ্যমে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এতে করে সাধারণ জনগনের জীবনযাত্রায় দুর্ভোগ নেমে আসবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানিকৃত জ্বালানিনির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শিল্পখাত প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের অভাবে স্বাভাবিক উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারছে না, যার প্রভাব রফতানি বাণিজ্যে পড়তে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অস্বাভাবিক হারে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং সম্প্রতি ইউরিয়া সারের মূল্য কেজি প্রতি প্রায় ছয় টাকা বৃদ্ধি আমাদের কৃষিখাতকে চাপে ফেলবে। কৃষিখাত জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে। এছাড়াও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি শিল্পখাতে আমাদের পণ্য উৎপাদন ও পণ্য পরিবহন খরচকে আরও বাড়িয়ে দিবে। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যয় বাড়বে, পণ্যের মূল্যও বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে পড়বে এবং স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে।
সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় ঢাকা চেম্বার মনে করে, দেশের দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একটি দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও এনার্জি মিক্স, জ্বালানি ব্যবহারে অপচয় হ্রাস ও কস্ট অ্যান্ড এনার্জি এফিশিয়েন্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা একান্ত জরুরি। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে কৃচ্ছ্বতা সাধনে আরও কঠোর তদারকি, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি মূল্য কমে এলে তার সাথে সঙ্গতি রেখে দ্রতই স্থানীয় বাজারে জ্বালানি মূল্য হ্রাসের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম
অর্থনীতি জ্বালানি টপ নিউজ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি দাম বৃদ্ধি নেতিবাচক প্রভাব