প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ছেন বরিস
৭ জুলাই ২০২২ ১৪:৪৪ | আপডেট: ৭ জুলাই ২০২২ ১৬:৫০
অবশেষে দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) পদত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। খবর বিবিসি।
আজ সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন জনসন। তবে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়লেও আগামী শরৎকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করবেন তিনি।
বরিস জনসনের দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করার খবরে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কনজারভেটিভ এমপি টোবিয়াস এলউড। শুধু পার্টির সুনাম নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় বরিস জনসনের এ পদত্যাগের ঘটনায় অত্যন্ত খুশি তিনি।
পার্টিতে এখন বড় ধরনের পুনর্গঠন করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন এলউড।
আরও পড়ুন: বরিসকে পদত্যাগ করতে বলে নিজেই পদচ্যুত ব্রিটিশ মন্ত্রী
এর আগে, ৫০ জন এসপিসহ মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের পদত্যাগের মুখে খোদ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকেই পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন গৃহায়ন ও সম্প্রদায় বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল গোভ। সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন বরিস। উল্টো এবার মাইকেল গোভকেই পদচ্যুত করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র মাইকেল গোভকে রীতিমতো ‘সাপ’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ সময় গতকাল বুধবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে মাইকেল গোভকে পদচ্যুত করেছেন বরিস জনসন। অথচ ব্রেক্সিট ক্যাম্পইনের সময় বরিস জনসনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা।
মাইকেল গোভকে পদচ্যুত করায় ব্রিটেনের রাজনৈতিক অঙ্গন আরও বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। তারই ধারবাহিকতায় দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিন্ধান্ত নিলেন বরিস জনসন। এর আগে, নানা কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদত্যাগে করে বসেন। চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগ দাবি করেন। তাদের সঙ্গেই সুর মিলিয়েছিলেন গোভ। তবে বরিস জনসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ছেন না।
সারাবাংলা/এনএস