জনপ্রিয় ভিলেন ডিপজলের ছেলের বিয়ে ছিল শুক্রবার। সে বিয়েতে চলচ্চিত্র অঙ্গনের তারকারাসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ আমন্ত্রিত ছিল। সেখানে ছিলেন জায়েদ খান ও ওমর সানী। দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওমর সানী তাকে চড় মারেন। তবে সানীর এমন দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন জায়েদ। তিনি উল্টো দাবি করছেন ওমর সানী মদ্যপ ছিলেন।
সারাবাংলাকে জায়েদ খান বলেন, সানী ভাই যেভাবে আপনাদের কাছে ঘটনাটা বলছে এরকম কোন কিছুই ওইদিন ঘটেনি। তাছাড়া ডিপজল ভাই তো বলেছেন, তিনিও দেখনি। আর পুরোটা মিথ্যে ও বানোয়াট। সানী ভাই তো মাতাল অবস্থায় ছিলেন। ওনার সঙ্গে কোন কথা-বার্তা হয়নি। দুমিনিট তাকিয়ে চলে গেছে।
কিন্তু উনি তো মৌসুমীর সঙ্গে আপনার খারাপ আচরণের অভিযোগ আনছেন? জবাবে জায়েদ বলেন, ‘কিছু নাই। কিছুই হয়নি। হয়তবা তিন দিন আগে নিপুণের জন্মদিনে স্ট্যাটাস দিয়েছে… ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে এমন ক্ষমতা কারো আছে? আজকে একটা রায় হবার কথা ছিল (শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে), লিস্টে আসে নাই। ওই কারণে আরকি, যেদিন রায় থাকে ওইদিন একটা ঘটনা আরকি। এখন তো লিচুর সময় তো, লিচু খেয়ে মানুষ ঘটনা ঘটায়।’
জায়েদ যোগ করেন, ‘মৌসুমী আপা বাংলাদেশ একজনই। আমার কীভাবে সাহস হবে তাকে নিয়ে নোংরা কথা বলার। মৌসুমী আপা নিজে বলুক আমি তাকে নিয়ে খারাপ কথা বলেছি।’
পিস্তল ঠেকানো ও গুলি করার হুমকি প্রসঙ্গও অস্বীকার করেন জায়েদ। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই কড়াকড়ি ছিল। মেটাল আর্চওয়ে পার হয়ে সবাইকে ঢুকতে হয়েছে। সেখানে পিস্তল নিয়ে ঢোকা সম্ভব ছিল না। যদি বলতেন অনুষ্ঠানের বাইরে পিস্তল বের করেছি, তাহলেও না হয় মানা যেত। ওখানে রোজিনা, অঞ্জনা আপারা ছিলেন। এত এত মানুষ ছিল। ক্যামেরা ছিল। সবার ভিডিও চেক করেন। এধরনের কিছু ঘটেছে কিনা?’
মৌসুমী আপনাদের প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করেছেন, ওমর সানী প্রচারণা চালিয়েছেন। তাহলে হঠাৎ সম্পর্কের অবনতি কেন?
‘প্যানেলে তো আমাদের হোসেন (মোহাম্মদ হোসেন), সোহানও (সোহানুর রহমান সোহান) ছিল। তো কী হয়েছে? আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিল। ডুবিয়ে দিয়েছে। এটা বলে লাভ আছে!’,— বলেন জায়েদ খান।
ওমর সানী ইতোমধ্যে শিল্পী সমিতি জায়েদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। থানায় জিডি করবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে জায়েদ খান কোন প্রকার আইনী প্রক্রিয়ায় যাওয়ার ক্ষেত্রে মুরব্বিদের কথার বাইরে যাবেন না। ‘ডিপজল, রুবেল ও সোহেল রানা ভাই আমার অভিভাবক। ওনারা যা বলবেন সে অনুযায়ী আমি অ্যাকশনে যাবো। ওনাদের কথা বাইরে আমি কিছুই করবো না।’