Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ মে ২০২২ ১৭:৫১ | আপডেট: ২৫ মে ২০২২ ২০:১৩

বান্দরবান: বান্দরবা‌ন ইসলা‌মিক ফাউন্ডেশনের উপপ‌রিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহর (৩৯) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। জেলার সুয়াল‌ক এলাকার ইসলা‌মিক মিশনের একজন সেলাই প্রশিক্ষক বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব‌্যুনালে এই মামলা দায়ের করেছেন।

সোমবার (২৩ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব‌্যুনা‌লের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মামলা‌টি আম‌লে নি‌য়ে বান্দরবান ট‌্যু‌রিস্ট পু‌লি‌শের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলমকে মামলা‌টি তদন্তের নি‌র্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার বাদীপ‌ক্ষের আইনজী‌বী দিপঙ্কর দাশ গুপ্ত ব‌লেন, ইসলা‌মিক ফাউন্ডেশ‌নের উপপ‌রিচালকের বিরু‌দ্ধে ধর্ষণ মামলা ক‌রে‌ছেন এক ভুক্ত‌ভোগী নারী। বিচারক মামলা‌টি আমলে নি‌য়েছেন। তিনি ট‌্যু‌রিস্ট পু‌লি‌শকে মে‌ডিকেল পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহসহ তদ‌ন্তের নি‌র্দেশ দি‌য়ে‌ছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী ২০১৪ সালে বান্দরবান সুয়ালকের ইসলা‌মিক মিশনের সেলাই প্রশিক্ষক পদে চাকরি শুরু করেন। ২০১৯ সালে নতুন ডিডি হিসেবে মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ যোগ দেওয়ার পরই তাকে পছন্দ করে প্রেমের প্রস্তাব দেন। ওই বছরের ৪ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে তিনি বাদীকে ডেকে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অফিসে তার শয়নকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর বাদী বিয়ের কথা বললেও তিনি নানা টালবাহান করে বিয়ে করেননি। তবে বিয়ে করবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ বছরের ১০ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বাদীকে ধর্ষণ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এক পর্যায়ে মীর নেয়ামত উল্লাহ বাদীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। পরে বাদী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত নেয়ামত উল্লাহ অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তবে অফিসে নিজের একটি শয়নকক্ষ থাকার তথ্য স্বীকার করেন। তার দাবি, সেখানে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তার মর্যাদাহানির জন্যই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার তদন্তভার পাওয়া বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলাটির কথা শুনেছি। তবে মামলার কপি বা কোনো নথিপত্র এখনো হাতে পাইনি। সে কারণে বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে আদালত মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়ে থাকলে সেটি যথা নিয়মেই তদন্ত করা হবে।

সারাবাংলা/টিআর

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক টপ নিউজ ধর্ষণের অভিযোগ

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর