আগের রূপে ফিরছে ঢাকা
৮ মে ২০২২ ১৬:১৪ | আপডেট: ৮ মে ২০২২ ২১:৪২
ঢাকা: ইদের ছুটি শেষে ইতোমধ্যে খুলে গিয়েছে সরকারি-বেসরকারি সকল অফিস। ইদের আমেজ শেষ আবারও কর্মমুখর হতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। গত কয়েকদিন রাজধানীর চিত্র ফাঁকা দেখা গেলেও এখন বাড়তে শুরু করেছে যানবাহনের চাপ।
রোববার (৮ মে) রাজধানীর শাহবাগ, কাওরানবাজার, মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর সড়ক এবং বাড্ডা সড়ক ঘুরে এই চিত্র দেখা গিয়েছে।
সকাল ১০টা, রাজধানীর শাহবাগ। ইদের ছুটির কারণে গত কয়েকদিন এই এলাকা ছিল প্রায় ফাঁকা। কিন্তু রোববার সকালে শাহবাগে ছিল কিছুটা যানজট। তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় সেরকম নয়। সিগন্যালে যানবাহনগুলোকে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে।
অপরদিকে কাওরানবাজারেও কিছুটা যানজট ছিল। কিন্তু ইদের আগে যেমন এই সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে তেমন অব অবস্থা এখনও হয়নি। কাওরানবাজার মোড়ের সিগন্যালে যানবাহনগুলোকে মিনিট পাঁচেক করে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে। তবে গণপরিবহণের চেয়ে এই মোড়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই ছিল বেশি।
মহাখালীতে বছরজুড়ে যানজট লেগেই থাকে বাস টার্মিনালের কারণে। বাস টার্মিনালের গাড়িগুলো রাস্তার দুই পাশ দিয়ে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে অর্ধেক রাস্তা বন্ধ করে। যার কারণে রাজধানীর অন্যান্য সিগন্যালে কম সময় অতিবাহিত করতে হলেও মহাখালী সিগন্যালে মিনিট দশেকের মতো সময় লেগেছে যানবাহনগুলোকে।
মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে কথা হয় এনা পরিবহনের একটি বাসের চালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই টার্মিনালে বছরজুড়ে যানজট থাকবেই। কারণ টার্মিনাল থেকে গাড়িগুলো বের হয়েই রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়। যাত্রীও তুলতে হয় রাস্তা থেকেই। তাই একটু যানজট থাকে। তবে অন্যান্য সময় যে যানজট হয় সেটা কিন্তু এখন নেই।
এদিকে মহাখালী পার হয়ে বনানী সড়কে কিছুটা যানজটে পড়তে হচ্ছে সবাইকে। কেননা বিমানবন্দর দিক থেকে আসা গাড়িগুলোকে মহাখালী ফ্লাইওভারের আগেই পড়তে হয়ে কয়েকটি সিগন্যালের মুখে। যার কারণে যানজটে পড়তে হচ্ছে। উত্তরবঙ্গগামী সব গাড়িগুলো এই রাস্তা দিয়েই মহাখালী বাস টার্মিনালে প্রবেশ করে। অপরদিকে কিছু যানবাহন বনানী হয়ে মহাখালী ফ্লাইওভার দিয়ে ধানমণ্ডি এবং কাওরানবাজারে প্রবেশ করে। আবার কিছু যানবাহন মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল, পুরান ঢাকা ও সদরঘাটসহ বিভিন্ন লোকেশনে আসা-যাওয়া করে। ফলে এই রুটে যানবাহনের চাপ থাকায় কিছুটা যানজট দেখা যায়।
বনানী সড়কে কথা হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অর্পণের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, এই যে যানজট, এটা কিছু না। খুবই সামান্য। এমন ঢাকা হলেও চলাচল করে শান্তি পেতাম। আগামীকাল থেকে হয়ত আবার সেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে থাকতে হবে। বিমানবন্দর থেকে বনানী এসেছি আধা ঘণ্টায়। কিন্তু অন্যান্য সময় বনানীতে যানজটের কারণে ঘণ্টা পার হয়ে যায়। সেদিক থেকে আজকে ভালোই এসেছি।
এদিকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে বাড্ডা সড়কে প্রবেশ করলেই হালকা যানজটে পড়তে হচ্ছে। যদিও খিলক্ষেতের আগেই যানবাহনগুলোকে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে। একইসঙ্গে কুড়িল ফ্লাইওভার দিয়ে বাড্ডা সড়কে প্রবেশ করলেই যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুনবাজার ও বাড্ডার একাধিক সিগন্যালে ধীরগতির যানজট রয়েছে।
এদিকে বসুন্ধরা গেইট সংলগ্ন যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে কথা হয় পল্টনগামী নাফিসের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, অফিস খুলেছে। গতকাল গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছি। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। সড়কে মোটামোটি যানবাহনের চাপ। এখন সময় মতো অফিসে যেতে পারলেই হয়।
সারাবাংলা/এসজে/এসএসএ