গভীর রাতে বন্ধুসহ স্পর্শিয়াকে থানায় নেয় পুলিশ

ঢাকা: গভীর রাতে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘকে (৩৩) আটক করার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। পুলিশের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় টহল পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় তাদের থানায় নেওয়া হয়েছিল।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে ধানমন্ডির ৮/এ রোডে ইউনিমার্ট শপিং সেন্টার এলাকায় ধানমন্ডি থানার এসআই মাহবুব উল আলম এবং এসআই মাইনুল ইসলাম টহল উিউটিতে ছিলেন। রাত ১২টার দিকে আবাহনী মাঠের দিক থেকে জিগাতলার দিকে একটি অভিজাত প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্টো-ঘ-১৭-৪০৭২) বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। ইউনিমার্টের সামনের সড়কে একটি রিকশায় ধাক্কা দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল গাড়িটির। তখন এসআই মাহবুব গাড়িটি থামার সংকেত দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘ্য। প্রাঙ্গন গাড়ি চালাচ্ছিলেন আর পাশের সিটে ছিলেন স্পর্শিয়া। তাদের গাড়ি কেন থামানো হয়েছে, এমন প্রশ্ন করে পুলিশের ওপর চড়াও হন তারা। পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তারা।

মদপানের বিষয়ে প্রাঙ্গনের কাছে জানতে চায় পুলিশ। এসময় প্রাঙ্গন জানান, তার মদপানের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু তখন তিনি লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। একপর্যায়ে গাড়িসহ তাদের ধানমন্ডি থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতেই প্রাঙ্গন মুচলেকা দেন থানায়। এরপর স্পর্শিয়া ও তিনি ছাড়া পান। মাতাল অবস্থায় থাকার কথা মুচলেকায় উল্লেখ করেছেন প্রাঙ্গন। অবশ্য মুচলেকায় স্পর্শিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাতে উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব সারাবাংলাকে বলেন, ‘গাড়ি কেন থামানো হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে প্রাঙ্গন খারাপ আচরণ করেন। পাশে থেকে স্পর্শিয়াও চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। অবশ্য আমরা তার সঙ্গে কথা বলিনি। যেহেতু প্রাঙ্গণ মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাই তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিনিয়র স্যারদের সঙ্গে কথা বলে থানায় নেওয়া হয়।’

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে প্রাঙ্গনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গাড়িতে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ছিল। তারা পুলিশের সঙ্গে অসাদচারণ করেন। এ কারণে তাদের থানায় নেওয়া হয়েছিল। রাতেই মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের।’

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

টপ নিউজ পুলিশ বন্ধুসহ স্পর্শিয়া মদপান মুচলেকা