রাউজানের ‘আজিজ বাহিনী’ প্রধান গ্রেফতার
১২ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:৫২
চট্টগ্রাম ব্যুরো : সাত বছর আগে যুবলীগ কর্মীকে খুন করে সৌদিআরবে পালিয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রামের রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত আজিজ উদ্দিন। একবছর আগে দেশে ফিরলেও আত্মগোপনেই ছিল। তবে শেষপর্যন্ত র্যাব তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। যুবলীগ ক্যাডার হিসেবেও এলাকায় তার পরিচিত আছে।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতার আজিজ উদ্দিন রাউজানের সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘আজিজ বাহিনীর’ প্রধান। তার বাড়ি রাউজানের হরিষখাইন গ্রামে। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) রাতে নগরীর এ কে খান এলাকা থেকে আজিজ উদ্দিনকে (৪৪) গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার চারাবটতল এলাকায় রাউজান-রাঙামাটি সড়কে মাইক্রোবাসে আসা মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন যুবলীগ কর্মী শহীদুল আলম। দুই মাস আগে আবুধাবি থেকে ফিরে তিনি খুনের শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এবং পরবর্তীতে পুলিশের দাখিল করা অভিযোগপত্রে এক নম্বর আসামি হিসেবে আজিজের নাম আছে।
পুলিশ এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজিজ উদ্দিন বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল। গড়ে তুলেছিল সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘আজিজ বাহিনী’। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আজিজ নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করে। খুন হওয়া শহীদুলও আজিজের গ্রুপে ছিল। তার বিরুদ্ধেও হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলা ছিল। আবুধাবি থেকে ফেরার পর শহীদুলের সঙ্গে আজিজের সম্পর্কের অবনতি হয়। শহীদুল নিজেই একটি গ্রুপ তৈরির চেষ্টা করেন। এতে আজিজ ক্ষুব্ধ হয়েছিল।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সদর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ তাহিয়াদ আহমেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘মামলার এজাহার এবং বিভিন্নভাবে আমরা তথ্য পেয়েছি যে, চাঁদাবাজি নিয়ে আজিজ এবং শহীদুলের সঙ্গে বিরোধ হয়েছিল। এর জের ধরে আজিজ তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে। খুনের পরপরই আজিজ পালিয়ে সৌদিআরবে চলে যায়। ২০২১ সালের শুরুতে সে দেশে ফিরে আসে। তবে এলাকায় না গিয়ে শহরে আত্মগোপন করে থাকে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।’
গ্রেফতার আজিজের বিরুদ্ধে ৫টি হত্যা মামলা আছে। এছাড়াও চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে আরও ৯টি মামলা আছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/একে