জেলের মৃত্যু: পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ
২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:০৫
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): কলাপাড়ায় নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের নির্যাতনে সুজন চৌকিদার (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পায়রা বন্দর এলাকার রামনাবাদ নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় উত্তেজিত স্থানীয় লোকজন পায়রা বন্দর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মামুনসহ চার কনস্টেবলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। জনতার হাতে ওই পুলিশ সদস্যরা লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে দাবি অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের।
এ ব্যাপারে নৌ পুলিশের এএসআই মামুন বলেছেন, জেলে সুজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
সুজন ওই এলাকার আ. সত্তার হাওলাদারের পুত্র।
এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে কলাপাড়া ও মহিপুর থানা থেকে শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে কলাপাড়া উপজেলা র্নিবাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক এবং পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ পৌঁছেছেন। এ সময় তারা উত্তেজিত লোকজনকে নিভৃত করতে নানা রকম আশ্বাস দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পরে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করা হয়।
সুজনের সঙ্গে থাকা জেলেরা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে চর বালিয়াতলী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রথম বয়ার কাছে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরার সময় পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাদের নৌ-যান নিয়ে ট্রলারটি ধাওয়া করে।
নৌ পুলিশের দাবি, নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাছ শিকার করছে এমন অভিযোগে তাদের ধাওয়া করে লালুয়ার ডোশের খালের অভ্যন্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় ট্রলারে থাকা অন্যান্য জেলেরা পালিয়ে গেলেও জেলে সুজন ট্রলারেই ছিল। নৌ-পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা ওই ট্রলারে ওঠে সুজনকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ জানান, অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
সারাবাংলা/একেএম