‘গাজায় যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরাইল’
২৭ জুলাই ২০২১ ১৮:৩১ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১ ২১:১৬
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ১১দিন ধরে চালানো ইসরাইলের হামলা স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গত ১০ মে থেকে গাজায় ওই আক্রমণাত্মক হামলা চালায় ইসরাইলের সেনাবাহিনী। খবর আলজাজিরা।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। তারা ইসরালি সেনাবাহিনীর তিনটি হামলার স্থানে তদন্তের পর এই অভিযোগের সত্যতা পায় সংস্থাটি। ওই হামলায় ৬২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, ‘হামলার আশপাশে স্পষ্টত কোনো সামরিক স্থাপনা ছিল না।’
একইসঙ্গে ইসরাইলের আবাসিক এলাকায় চার হাজারের অধিক রকেট হামলার চালানোয় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয় ওই প্রতিবেদনে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইচ্ছাকৃত বা এলোপাথাড়িভাবে বেসামরিক লোকদের ওপর এই হামলাগুলো চালান হয়।
ইসরাইলের চালান হামলার ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এছাড়াও হামাসসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীদের বিষয়ে আলাদা একটি প্রতিবেদন আগামী আগস্টে প্রকাশ করা হবে বলেও মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: হামাসের ‘জয়ে’ ফিলিস্তিনজুড়ে আনন্দ মিছিল
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সহিংসতা হ্রাসে বাইডেনের আহ্বান
প্রসঙ্গত, গত ৭ মে রমজানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবসে বিপুল পরিমাণ মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরাইলি বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এর দুই দিন পর, পবিত্র শবে কদরেও আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়।
পরে, হামাসের ছোড়া রকেটের জবাবে ১০ মে থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ফিলিস্তিনিরা রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরাইলের এই হামলা ২৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭ জন শিশু ও ৩৯ জন নারী রয়েছেন। এদিকে হামাসের ছোঁড়া রকেটে দুই শিশুসহ ১২ জন ইসরাইলি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে ইসরাইলের একজন সেনা সদস্যও রয়েছে।
একপর্যায়ে, নারী-শিশুসহ বেসামরিক প্রাণহানি ঠেকাতে মিশর, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, চেক প্রজাতন্ত্র এবং ফ্রান্সের মতো দেশগুলোর তৎপরতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
সারাবাংলা/এনএস
ইসরাইল গাঁজা টপ নিউজ ফিলিস্তিন যুদ্ধাপরাধ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ