।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানী ঢাকার সবগুলো খাল দখলমুক্ত করতে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। আগামী দুই মাসের মধ্যে খালগুলো সরেজমিনে দেখে তা উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিপন্ন নদ-নদী, হাওর-জলাশয় সুরক্ষা এবং জনমানুষের জীবিকা: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনার তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনার শেষে ঢাকার খাল রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার সারাবাংলাকে বলেন, নদী ও খাল উদ্ধারে আমরা বিলম্ব করতে চাই না। প্রয়োজনে নদী উদ্ধারে স্পেশ্যাল ট্রাইব্যুনাল করা হবে। এ জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
মুজিবুর রহমান বলেন, গত ২১ মার্চ নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর নেতৃত্বে ঢাকার চারটি খাল আমরা পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনে গিয়ে যে অবস্থা দেখেছি তা অবশ্যই ভয়াবহ। এটা দেখে ইতোমধ্যে আদেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত ওই খাল দখলমুক্ত করতে। নদী বা খালের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন তৈরি থাকলেও সেটিও ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নৌপরিহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে নদী রক্ষায় আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নদী রক্ষা কমিশনের আইনে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা যথাযথ নয় বলেও উঠে এসেছে। তবে ওই আইন বাস্তবায়নে সমন্বয়ের যে কথা বলা আছে সেটি যথাযথ বলেও আমি মনে করি।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কলাম লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিজেরা করি-এর চেয়ারপারসন খুশি কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, হাওর ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা ও এ এল আরডির নির্বাহী শামসুল হুদাসহ অনেকে।
সারাবাংলা/এজেডকে/আইএ/এমআই