তীব্র স্রোতে ফেরি চলছে ধীরগতিতে, অপেক্ষায় ৬ শতাধিক যানবাহন
১৯ জুলাই ২০২১ ১০:১২
মুন্সীগঞ্জ: আর মাত্র একদিন পরেই ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে ঘরে ফেরার চাপ বাড়ছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়ে ফেরি ও লঞ্চে পদ্মা পারি দিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকেই মোটরসাইকেল ও সাধারণ যাত্রীদের ভিড় ছিল ফেরিগুলোতে। বিশেষ করে লঞ্চঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীদের গাদাগাদি। লঞ্চে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের হুড়োহুড়িতে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে পদ্মার তীব্রস্রোত ও গণপরিবহন এবং ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে ৬ শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়াও ঘাট অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পারাপারের অপেক্ষায় শতশত পণ্যবাহী ট্রাক।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১৫টি ফেরি ও ৮৩টি লঞ্চ সচল রয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিস শিমুলিয়াঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ জানান, ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ৬ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল যানবাহন পারাপার করা হবে। তবে সকাল থেকে যাত্রী এবং মোটরসাইকেল চাপ রয়েছে ফেরিগুলোতে। বেশ কয়েকটি ফেরি ছাড়তে হয়েছে শুধু যাত্রী ও মোটরসাইকেল নিয়ে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের মেরিন কর্মকর্তা জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যেতে ফেরিগুলোর দ্বিগুণ সময় লাগছে। প্রতিটি ফেরিকে স্রোতের বিপরীতে ও নদীতে ৩/৪ কিলোমিটার অধিক পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে।
সারাবাংলা/এএম