Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিধিনিষেধে মসজিদে নামাজ আদায়ে মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ জুলাই ২০২১ ২০:৩২ | আপডেট: ৬ জুলাই ২০২১ ২৩:১৫

ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিসও বন্ধ রয়েছে। বিধিনিষেধের এই সময়ে মসজিদে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রেও দিকনির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এসব নির্দেশনায় মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ছাড়াও মুসল্লিদের বাড়ি থেকে সুন্নত নামাজ আদায় করে মসজিদে কেবল ফরজ নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কুদ্দুস আলী সরকারের সই করা আদেশে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মসজিদে নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে পালনীয় নির্দেশনা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে দরজায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। একইসঙ্গে মুসল্লিদের বাসায় থেকেই ওজু করে সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করতে হবে। কেবল ফরজ নামাজ আদায় করতে মসজিদে আসতে হবে। ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জামায়াতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদের ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলা হয়েছে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায়।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রণালয় বলছে, এর বাইরেও সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। মহামারি থেকে রক্ষা পেতে নামাজ শেষে দোয়া করতে হবে। খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে এই নির্দেশনাগুলেঅ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করে প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বও যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

টপ নিউজ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নামাজ আদায়

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর