Sunday 05 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সীমান্তে অন্য দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩০ জুন ২০২১ ১৮:৫৭ | আপডেট: ৩০ জুন ২০২১ ১৯:০৩

ঢাকা: সীমান্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায়, বিশেষ করে মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত এলাকায় তাদের দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের সীমান্তে ব্যবহার করে দেশে অপরাধ ও নাশকতার আশঙ্কা থেকে তারা এ দাবি জানান।

বুধবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারি, মাদক বেচাকেনা, অর্থপাচার, মানব পাচার এমনকি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল নেটওয়ার্ক। বিশেষ করে ২০১৭ সালের২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিলে মোবাইল নেটওয়ার্কের অপব্যবহারের বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হয়। এমনকি এই মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে তারা জনসভা করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। আমাদের ও বিভিন্ন মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের লক্ষ্য করা যায়, ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখই বাংলাদেশ মোবাইল অপারেটরদের। তার মধ্যে আরও ৩ থেকে ৪ লাখ লাখ সিম মিয়ানমারের মোবাইল কোম্পানি এমটিপি’র।

তিনি বলেন, আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের দাবি জানালে সরকার ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে মিয়ানমারে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ করে দেয়। ঠিক এরপর থেকেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক বেশি করে ব্যবহার করতে শুরু করে। গ্রাহকদের দ্রুত সেবা ও ব্যবসার স্বার্থে মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর নাফ নদীর পাড়ে মোবাইল টাওয়ার বসায়। বিষয়টি আমরা আলোচনায় আনলে এমনকি গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা বিবৃতি দিলে দেশের জাতীয় অনলাইন ও জাতীয় পত্রপত্রিকাগুলোতে, এমনকি বিবিসিতে সেই বক্তব্য প্রচারিত হয়।

বিজ্ঞাপন

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে টেকনাফের স্থানীয় নাগরিকরা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে বিড়ম্বনায় পড়লেও রোহিঙ্গা নাগরিকরা ঠিকই থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। একইভাবে ভারত সীমান্ত ঘেঁষে রিলায়েন্স জিও মোবাইল নেটওয়ার্ক এ টাওয়ার থাকায় সীমান্ত এলাকার নাগরিকরা সহজেই অন্য দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থ পাচার, অপরাধমূলক ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট তথ্য পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা বিষয়টি দ্রুত আমলে নিয়ে দুই দেশের টেলিকম নিয়ন্ত্রক কমিশনের আইন অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন মোবাইল নেটওয়ার্ক মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর