ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার ঘোষিত তিন দিনের ছুটি কাটিয়ে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে যোগ দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বিভিন্ন দফতরে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল কম। সবার মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করায় কাজ চলছে ঢিলেঢালাভাবে। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গল্প-আড্ডাতে অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন তারা।
এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঈদে বাড়তি ছুটি নেওয়ার উপায় ছিল না কারোরই। যে কারণে বৃহস্পতিবারের সঙ্গে শুক্র ও শনিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মূলত তিন দিনের ছুটি ছিল। তাছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধে জরুরি সেবা দেওয়া মন্ত্রণালয়, দফতর ছাড়া অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানই বন্ধ রয়েছে।
রোববার ( ১৬ মে) সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সবগুলো দফতরেই শুণ্যতা বিরাজ করছে। জরুরি সেবা দেওয়া যে সকল মন্ত্রণালয়, দফতর খোলা রয়েছে সেখানেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি একেবারেই কম। যারা অফিস করেছেন তারা কোলাকুলি ছাড়া ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় আর দূরত্ব বজায় রেখে গল্প আড্ডাতে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার ওই অর্থে ঈদের ছুটি তাদের ছিল না। মূলত একদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই ছুটি ছিল বলা যায়। নির্দেশনা অনুযায়ী যতটুকু জনবল দরকার কেবল ততটুকু নিয়েই কাজ চলছে। এবার ঈদের ছুটিতে সকলকে কর্মস্থলে থাকতে হওয়ায় ছুটির আমেজ নেই সচিবালয়ের দফতরগুলোতে।
খাদ্য, ভূমি, আইন, মৎস, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়, সড়ক পরিবহন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, বাণিজ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়গুলোতে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনাগোনা। কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের করিডোর অন্ধকারে ডুবে রয়েছে।
তবে বরাবরের মতো খোলা রয়েছে তথ্য অধিদফতরের নিউজ রুম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম, জরুরি সেবা কেন্দ্র, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা। আরও খোলা আছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অংশ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের এই সংকট মুহুর্তে যেসব মন্ত্রণালয়ের বিভাগ খোলা রাখা দরকার, কেবল সেসবই সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে। ধাপে ধাপে তা শিথিল করা হলেও সোমবার (১৭ মে) থেকে এই নির্দেশনা আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।