ঢাকা: অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা। অব্যাহতি পাওয়া এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামিদের জামিন পেতে সহায়তা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ২টার সময় দুদক কার্যালয়ে হাজির হন জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা। দুদক উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাকে বিকেলে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিকেলে দুদক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রুপা সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। কাউকে জামিন দেওয়া আমার এখতিয়ার না একমাত্র আদালতের এখতিয়ার। সরকারি আইনজীবীদের কথায় আদালত কখনো জামিন দেন না।
আরও পড়ুন-
- ডেপুটি অ্যাটর্নি রুপার রিট খারিজ, হাজির হতেই হবে দুদকে
- জি কে শামীমের জামিনে ডেপুটি অ্যাটর্নি রুপার সম্পৃক্ততার অভিযোগ
- জি কে শামীমের জামিন: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রুপাকে দুদকে তলব
![]()
তিনি আরও বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। দুদকের অনুসন্ধানেও সেটিই বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি। আর আমার যা কিছু জানানোর, তা আমি লিখিতভাবে কমিশনকে জানিয়েছি।
এর আগে, জি কে শামীমের জামিন করিয়ে দেওয়াসহ অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে। পরে গত ২৮ অক্টোবর এক চিঠিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দুদকে তলব করেন। ৪ নভেম্বর তাকে দুদকে হাজির হতে বলা হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় ৪ নভেম্বর দুদকে হাজির হতে পারছেন না জানিয়ে সময়ের আবেদন করেছিলেন রুপা। একইসঙ্গে দুদকের ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১ নভেম্বর তিনি রিট দায়ের করেন। পরদিন ২ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে ৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট শুনানি ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন।
এরপর গত ৩ ডিসেম্বর শুনানি নিয়ে রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একইসঙ্গে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে তাকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে নির্দেশও দেন আদালত। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া ওই সময় শেষ হওয়ার সাত দিন আগেই দুদকে হাজির হলেন রুপা।