দ. কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড বহাল
১৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:৩২
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাইকে দেওয়া ২০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। খবর বিবিসি।
এর আগে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জবরদস্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে পার্ক গিউন হাইকে প্রথমে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে, ২০২০ জুলাইয়ে আপিলের পর তার সাজা কমিয়ে ২০ বছর করা হয়েছিল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন পার্ক গিউন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) চূড়ান্ত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ওই সাজা বহাল রাখে।
পাশাপাশি, ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত পার্কের এক হাজার ৮০০ কোটি ওন (দক্ষিণ কোরিয়ার মুদ্রা) জরিমানার রায়ও বহাল রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ আদালত।
এদিকে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট পার্কের দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে বড় দুটি কোম্পানির প্রধানকেও জেলে যেতে হয়েছে। ওই রায়ে পার্ককে দুর্নীতির দায়ে ১৫ বছর এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওদিকে, ঘুষ নেওয়া ও জবরদস্তিসহ ১৮ অভিযোগের ১৬টিতেই পার্ক ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, ঘনিষ্ঠ বান্ধবী চোই সুন-সিলের সঙ্গে মিলে পার্ক ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং, রিটেইল চেইন লোটের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে চোই পরিচালিত ফাউন্ডেশনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার দিতে চাপ দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, চোইয়ের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আকর্ষণীয় চুক্তি করতে এবং চোই ও তার মেয়েকে উপহার দিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করা এবং বান্ধবীর সঙ্গে গোপনীয় প্রেসিডেন্সিয়াল নথি শেয়ারের অভিযোগেও পার্ক দোষী সাব্যস্ত হন।
তবে, সাবেক এ প্রেসিডেন্ট অবশ্য অন্যায়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন। তিনি আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতে অস্বীকৃতিও জানিয়েছিলেন।
বিবিসি জানাচ্ছে, পার্কের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানিতে তার সঙ্গে বান্ধবী চোইয়ের সম্পর্কের বিষয়টিই বেশি প্রাধান্য পায়। টানা শুনানি ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে কয়েক মাসের বিক্ষোভের পর ২০১৭ সালের মার্চে পার্ক ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পরপরই তাকে গ্রেফতারও করা হয়। দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত চোই ২০১৮ সালে ২০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
সারাবাংলা/একেএম
টপ নিউজ দক্ষিণ কোরিয়া দুর্নীতি এবং ক্ষমতা অপব্যবহার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাই