আরও এক মাস ‘বাড়ছে’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি
৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:৪৮ | আপডেট: ৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৪৯
ঢাকা: করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আরও একমাস বাড়তে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সূত্র বলছে, মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র সারাবাংলাকে জানান, মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। সরকারও এই শীতে শিক্ষার্থীদের কোনো ঝুঁকিতে ফেলতে চাচ্ছে না। ফেব্রুয়ারির পর শীত কমলে এবং ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা বিবেচনা করে হয়তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে বলা যায় আরও এক দফা ছুটি বাড়ানো হচ্ছে। তবে সিদ্ধান্তটি এখনও প্রধানমন্ত্রীর হাতে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনও বলেন, ‘ছুটি বাড়ানো কিংবা কমানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নেবেন। এ বিষয়ে আমরা কেবল প্রস্তাব দিতে পারি। সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে পরিস্থিতি এখন যে পর্যায়ে আছে তাতে স্কুল না খোলার সম্ভাবনাই বেশি।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়লেও টেলিভিশন, রেডিও এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে যোগাযোগ করা হলে তারাও বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বলে জানান। অধিদফতরের মহাপরিচালক গোলাম ফারুক বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী। আমরা বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে মাউশির আরেকটি সূত্র বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এ দফায় মাত্র ১৫ দিন ছুটি বাড়বে। ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকা বন্ধ বাড়িয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ করা হতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অবশ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে এর আগে একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন। মাউশির সূত্র বলছে, মন্ত্রী এখানে ফেব্রুয়ারি মাসকেই ইঙ্গিত করেছিলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে শনিবার (৯ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে গেল বছরের মার্চ মাসের ১৮ তারিখ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সময়ে এইচএসসিসহ দেশের সকল পাবলিক ও বার্ষিক পরীক্ষা বাতিল করেছে সরকার। এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার রেকর্ড।