পুলিশ অভিযানের মধ্যে তরুণের মৃত্যু তদন্তে কমিটি, এসআই প্রত্যাহার
১৭ জুলাই ২০২০ ১১:১২ | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ১৪:৫৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে পুলিশের অভিযানের মধ্যে তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযানে যাওয়া উপপরিদর্শককে জনতার বিক্ষোভের মুখে ক্লোজ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার বাদামতলীর বড় মসজিদ গলির একটি বাসা থেকে মো. মারুফ (১৯) নামে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই তরুণকে সন্দেহভাজন মাদক বিক্রেতা বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘মাদক বিক্রেতা’কে ধরতে অভিযান, বাসায় মিলল ঝুলন্ত মরদেহ
পুলিশ ও এলাকার লোকজনের ভাষ্য অনুযায়ী, মারুফের বাসার পাশে সন্ধ্যায় পুলিশের এক সোর্সকে চোর সন্দেহে পিটুনি দেয় এলাকার লোকজন। এ ঘটনার পর ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল মারুফকে আটক করতে যায়। এলাকার লোকজন তাকে লাঞ্ছিত করে। পরে থানা থেকে পুলিশের টিম যায়। মারুফের মা-বোনসহ প্রতিবেশীরা সড়ক অবরোধ করে তাকে বাধা দেয়। ততক্ষণে মারুফ গা ঢাকা দেয়। তখন তার মা ও বোনকে পুলিশ গাড়িতে তুলে নেয়। তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এর মধ্যে মারুফ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে বলে তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার পর রাতেই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে আসে। মারুফের লাশ উদ্ধার করতে গেলে বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। বিক্ষোভের মুখে নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপকমিশনার ফারুকুল হক অভিযুক্ত এসআই মো. হেলালকে ক্লোজ করার ঘোষণা দেন। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পুলিশের উপকমিশনার ফারুকুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, এসআই হেলাল সাদা পোশাকে একা অভিযানে গিয়েছিল। পরে পুলিশের টিম যায়। থানাকে অবহিত না করে সাদা পোশাকে অভিযানে যাওয়া ভয়াবহ অপরাধ। এজন্য তাকে আপাতত আমার অফিসে ক্লোজ করেছি। যদি অভিযোগ প্রমাণ হয় বিভাগীয় শাস্তি হবে।’
এদিকে নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার শ্রীমা চাকমাকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেনকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটিকে শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপকমিশনার ফারুকুল হক।
এসআই ক্লোজড ঝুলন্ত মরদেহ টপ নিউজ তদন্ত কমিটি পুলিশের অভিযান মরদেহ উদ্ধার মাদক বিক্রেতা