Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আরও ৫১৬১ পণ্য রফতানির সুযোগ


১৯ জুন ২০২০ ১৮:৫৮ | আপডেট: ১৯ জুন ২০২০ ২১:৫৩

ঢাকা: বাংলাদেশকে আরও ৫ হাজার ১৬১ পণ্য শুল্কমুক্ত রফতানির সুবিধা দিয়েছে চীন। এর আগে বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের (এপিটিএ) আওতায় বাংলাদেশ ৩ হাজার ৯৫টি পণ্য শুল্কমুক্ত হিসেবে রফতানি করতে পারত। ফলে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য এখন বাংলাদেশ বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত হিসেবে চীনে রফতানি করতে পারবে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্ত হিসেবে রফতানির সুবিধা দিলো চীন। এ সুবিধা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৯ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই সুবিধা পাওয়ায় চীনে রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং দুই দেশের বাণিজ্য বৈষম্যও কমবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চীন বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার দেশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীন থেকে বাংলাদেশে আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিপরীতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও কম। এ বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে চীনে শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানির সুবিধা চেয়ে আসছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ আলোচনা ও দরকষাকষির পর এবার সে সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ।

জানা যায়, চীন ২০১০ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত রফতানি সুবিধা দিয়ে আসছে। শুরুতে বাংলাদেশসহ কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা ৩৩টি স্বল্পোন্নত দেশকে ৬০ শতাংশ ট্যারিফ লাইন দেয় দেশটি। দেখা যায়, বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য অনেক পণ্যই এই সুবিধার বাইরে ছিল। এসব পণ্য যেন শুল্কমুক্তভাবে চীনে রফতানির সুবিধা পাওয়া যায়, চীনকে সে অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ।

এদিকে, চীন ২০১৩ সালে শুল্কমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের সংখ্যা ৪০টিতে উন্নীত করে। এর মধ্যে ২৪টি স্বল্পোন্নত দেশ ৯৭ শতাংশ ট্যারিফ লাইন ও ১২টি দেশ ৯৫ শতাংশ ট্যারিফ লাইন সুবিধা পেয়ে আসছিল। বাংলাদেশ ও মৌরিতানিয়ার জন্য ট্যারিফ লাইন ছিল ৬০ শতাংশ। এ অবস্থাতে বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে চীন জানায়, ৯৭ শতাংশ ট্যারিফ লাইন বাংলাদেশকেও দেওয়া হবে, তবে এর জন্য বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের আওতায় স্বল্পোন্নত দেশের জন্য বিদ্যমান সুবিধা নিতে পারবে না। পরে দীর্ঘ আলোচনা ও দরকষাকষি শেষে গত ১৬ জুন চীন বাংলাদেশকে শর্তহীনভাবে ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা দিতে আদেশ জারি করে।

বিজ্ঞাপন

এই আদেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ মোট ৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য চীনের বাজারে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধায় রফতানি করতে পারবে আগামী ১ জুলাই থেকে। এর জন্য বাংলাদেশকে কোনো ধরনের ছাড় দিতে হবে না।

কোটামুক্ত কোটামুক্ত রফতানি চীন পণ্য রফতানি বাণিজ্য সম্পর্ক শুল্কমুক্ত শুল্কমুক্ত রফতানি

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর