রাঙ্গামাটিতে কীটনাশক দিয়ে পাকানো ৩০ হাজার আনারস ধ্বংস
১৫ মে ২০২০ ১৫:৫২ | আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ১৫:৫৯
রাঙ্গামাটি: পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় অপরিপক্ক আনারস কীটনাশক দিয়ে পাকানোর অভিযোগে ৩০ হাজার আনারস জব্দ করে ধ্বংস করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বগাছড়ি সতেরোমাইল জিতেনপাড়া ও উনিশমাইল নামক এলাকার দু’টি বাগানের এসব আনারস জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
রাসায়নিক দিয়ে আনারস পাকানোর কাজে জড়িত অসাধু দুই আনারস ব্যবসায়ী হলেন মো. শাহজাহান ও মোস্তফা মিয়া। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিউলি রহমান তিন্নী জানান, কিছু আনারস ব্যবসায়ী একেবারে অপরিপক্ক আনারস বিভিন্ন কীটনাশক মিশিয়ে পাকিয়ে তা ঢাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় আমরা ট্রাকসহ আনারস জব্দ করি। ট্রাকের চালকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, কীটনাশক মেশালে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আনারসগুলো পেঁকে যায়। অসাধু দুই ব্যবসায়ীকে আটকের জন্য পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে।
নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাব্বির হোসেন বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, কিছু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার আশায় অপরিপক্ক আনারস ওষুধ দিয়ে পাকিয়ে ঢাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালাই এবং ৩০ হাজার পিস আনারস জব্দ করতে সক্ষম হই। তবে ব্যবসায়ীকে হাতে নাতে ধরতে না পারলেও তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে। যতদিন আনারসের মৌসুম থাকবে, ততদিন আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নানিয়ারচর মৌসুম ফল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন বলেন, করোনার এই মহামারির সময় যারা এমন কাজ করতে পারে, তারা মানুষ হতে পারে না। মাত্র কয়েকজনের কারণে আনারস চাষি ও প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ, এসব যারা করে তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে রাঙ্গামাটিতে মোট ২১৫০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষাবাদ হয়েছে। এর বেশিরভাগই নানিয়ারচর উপজেলায়। দীর্ঘ বছর ধরে এ উপজেলায় সবচেয়ে চাষাবাদ ও ভালো ফলন হওয়ায় নানিয়ারচরকে ‘আনারসের রাজধানী’ বলা হয়ে থাকে।
অপরিপক্ক আনারস আনারস কীটনাশক দিয়ে পাকানো আনারস রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আনারস