১৫০০ কোটির ক্লাবে সোনাক্ষী সিনহা
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:৪১ | আপডেট: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১১:৩৯
বলিউডে তার চেয়ে সফল ও নামজাদা অভিনেত্রী আরও আছেন। প্রিয়াংকা, কারিনা, দিপাকা, ক্যাটরিনার মত বিখ্যাতরা শুধু বলিউড নয়, কেউ কেউ হলিউডেও নামডাক কুড়িয়েছেন। তবে এদের প্রত্যেকেই দশের দশকের আগে বলিউডে অভিষিক্ত হয়েছেন। যদি এ দশক অর্থাৎ ২০১০ সালের পর বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে এমন অভিনেত্রীর মধ্যে তুলনা করা হয়, তবে সোনাক্ষীর সামনে আর কেউ নেই। অন্তত আয়ের দিক থেকে নয়ই।
সোনাক্ষীর ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচটি সিনেমার চারটিই ছিলো শত কোটি রুপি আয় পেরোনো সিনেমা। এবং তাও মাত্র ২ বছরের মধ্যে। উল্লেখ্য, ২০১০-১১ সালের দিকে কোনো সিনেমার ১০০ কোটি রূপি আয় ছিল বিরল ঘটনা। সোনাক্ষী তার ক্যারিয়ারের শুরুতেই এ বিরল ঘটনাকে ডালভাত বানিয়েছেন।
২০১০ সালের পর বলিউডে পা রেখেছেন এমন অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনিই একমাত্র যিনি ১৫০০ কোটি রূপির ক্লাবে ঢুকেছেন। বলিউডে তৃতীয় অভিনেত্রী হিসেবে এ কৃতিত্ব তার। ভারতের বলিউড লাইফ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বক্স অফিসে বড় দান মেরেছে এমন কয়েকটি সিনেমার তালিকাও দিয়েছে বলিউড লাইফ। সেখানে দেখা যায়, ২০১০ সালে সুপারস্টার সালমান খানের ‘দাবাং’ দিয়ে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরু করেন সোনাক্ষী। ওই সিনেমাটি আয় করে ১৪১ কোটি রূপি।
পরে আরেক সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের ‘রাউডি রাথোর’-এ অভিনয় করেন সোনাক্ষী। ওই সিনেমা আয় করে ১৩৩ কোটি রূপি। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সন অব সর্দার’, সিনেমাটি আয় করে ১০৫ কোটি রূপি। এরপর একই বছরে ‘দাবাং ২’ আয় করে ১৫৫ কোটি রূপি। ২০১৪ সালে ‘হলিডে’ আয় করে ১১২ কোটি রূপি। এরপর ২০১৯ সালে ‘মিশন মঙ্গল’ বক্স হিসেবে সুপার হিট হয়। এ সিনেমাটি আয় করে ২০৮ কোটি রূপি।
বৃহস্পতিবার এ অর্জন সম্পর্কে একটি টুইটও করেছেন সোনাক্ষী সিনহা। তিনি লিখেন, প্রকৃতি আমাকে একটি বিষয়ে দক্ষতা দিয়েছে, আমি আমার মস্তিষ্ক ও হৃদয় দিয়ে এ দক্ষতার ব্যবহার করি। দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, আমি আগের দিনের চেয়ে নিজেকে আরও ভাল করে নিতে কাজ করি।
নিজেকে যে তিনি দিন দিন নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন তা সোনাক্ষী নিজে না বললেও চলে। কেননা আয়ের এ অংক বলে দিচ্ছে বলিউডে কতটা সফল তিনি।