অ্যাজমার কারণে মেয়েটিকে সহজেই কাবু করে ধর্ষক মজনু
৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৫৪ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৩০
ঢাকা: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মজনু ঘটনার দিন কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিজের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সে ওই মেয়েটিকে দেখতে পায়। এরপর সে মেয়েটিকে অনুসরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে মজনু ওই শিক্ষার্থীর মুখ ও গলা চেপে ধরে। মেয়েটির অ্যাজমা থাকায় সে খুব সহজেই অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর সে মেয়েটিকে পাজা কোলে করে ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে গিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করে। ফাঁকে ফাঁকে ওই মেয়েটিকে সে ঘুষি ও চড়-থাপ্পর দেয়। এমনকি তাকে গলা টিপে হত্যারও পরিকল্পনা ছিল ধর্ষকের।’— বলছিলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মিডিয়া শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে বুধবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর শেওড়া এলাকা থেকে ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতার মজনু একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই ব্যক্তি এর আগেও বিভিন্ন সময় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীদের ধর্ষণ করেছে।
সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘ধর্ষক মজনুর কাছ থেকে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর ব্যাগ, মোবাইল ফোন, পাওয়ার ব্যাংকের পাশাপাশি ইনহেলারও উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি মেয়েটিও জানিয়েছে যে, তার অ্যাজমা ছিল বলেই সে ব্যাগে ইনহেলার রাখতো। আর অ্যাজমায় থাকায় মেয়েটির মুখ চেপে ধরার কারণে সে খুব সহজেই অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর মজনু ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।’
এদিকে মেয়েটির স্বজনরাও জানিয়েছে যে, তার অ্যাজমা ছিল। সে কারণে ব্যাগে সবসময় ইনহেলার বহন করতো।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ জানুয়ারি, রোববার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গলা ও মুখ চেপে ধরলে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তাকে ঝোঁপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।