শিশু, প্রতিবন্ধী ও নারী ভিক্ষুকদের টার্গেট করতো মজনু
৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৪৭ | আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:৩৫
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ধর্ষক মজনু একজন ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। নোয়াখালীর এই দিনমজুর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, বিভিন্ন সময় ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধী নারীদের ধর্ষণ করে সে। এসব ঘটনায় কুর্মিটোলার ওই জায়গাটি প্রায়ই ব্যবহার করেছে সে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম। তিনি বলেন, ১০ বছর আগে নোয়াখালির হাতিয়া থেকে ঢাকা আসে মজনু। এরপর কখনো কমলাপুরে , কখনও আবার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে ভবঘুরে হিসেবে দিন কাটাত মজনু। আর এসব রেলস্টেশনের থাকা প্রতিবন্ধী নারী ও ভিক্ষুকদের ধর্ষণ করত সে।
ব্রিফিংয়ে সারওয়ার বিন কাশেম জানান, মজনু মাদকাসক্ত। সে ছিনতাই, রাহাজানি ও চুরির মতো অপরাধ কর্মকাণ্ডেও জড়িত। বুধবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর শেওড়া এলাকা থেকে ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র্যাবের মিডিয়া শাখার এই পরিচালক।
সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে শেওড়া রেল ক্রসিং এলাকা থেকে ধর্ষক মজনুকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এসময় তার কাছ থেকে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও পাওয়ার ব্যাংক এবং মজনুর পোশাক উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু ঢাবির ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়ার সন্দ্বীপে। তার বাবা মৃত মাহফুজুর রহমান। মা জীবিত থাকলেও বাড়ির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। মজনু বিবাহিত, তার স্ত্রী মারা গেছেন। ১০ বছর আগে জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় আসে সে।
আরও পড়ুন- অ্যাজমার কারণে মেয়েটিকে সহজেই কাবু করে ধর্ষক মজনু
আরও পড়ুন- ধর্ষক মজনু ৪০০ টাকায় বিক্রি করে ঢাবি শিক্ষার্থীর মোবাইল
আরও পড়ুন- ধর্ষক গ্রেফতারে স্বস্তি ফেরেনি, সর্বোচ্চ শাস্তি চান শিক্ষার্থীরা