ফোরজি তরঙ্গ নিলাম, সরকারের আয় সোয়া ৫ হাজার কোটি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৯:৩৫ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৫১
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বহু কাঙ্ক্ষিত ফোর্থ জেনারেশন অব ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়র্ক (ফোর জি) তরঙ্গের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নিলামে টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ১০.৬ মেগাহার্জ (মে.হা) ও গ্রামীণফোন ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ পেয়েছে। দুটি কোম্পানির কেনা এই তরঙ্গ থেকে ভ্যাটসহ সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে প্রায় ৫২৬৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এই নিলামের আয়োজন করে। ফোর জি তরঙ্গ বরাদ্দ পেতে চারটি অপারেটর আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকই এই নিলামে অংশ নেয়।
তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠানে বাংলালিংক ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৫.৬ ও ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্টজ ব্যান্ড তরঙ্গ কেনে। এছাড়া গ্রামীণফোন ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্টজ ব্যান্ড তরঙ্গ কেনে। নিলামে বিক্রি হওয়া তরঙ্গের বাজারমূল্য প্রায় ৩৭৪৮.৮ কোটি টাকা। যা ভ্যাটসহ প্রায় ৫২৬৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
নিলাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘বাসা থেকে অফিস পর্যন্ত যেতে ৮ বার কল ড্রপ হয়। গ্রাহকের সংখ্যা বাড়লে তরঙ্গের পরিমাণ বাড়ছে না। ফোরজির নিলাম সম্পন্ন হওয়ায়য় আজ একটি নতুন যাত্রা হয়েছে। ’
মোস্তফা জব্বার আরো বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ সেবায় গুনগত মান আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এমন নয় যে আপনারা দেশের জনগনকে খয়রাতি দিচ্ছেন। কিন্তু আপনারা টাকার বিনিময়ে সেবা দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আমি টাকা দেই, কিন্তু গতি পায় না। গতিটা যদি দেশজুড়ে পৌছে দিতে পারে তাহলে দেশ ডিজিটাল হবে। আমরা যতোটা পশ্চাৎপদ ছিলাম তা থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটি একটি নতুন মাইলফলক। ’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, নিলাম থেকে বিক্রি হওয়া তরঙ্গ থেকে ৫২৬৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ফোরজি লাইসেন্স প্রদান করা হবে এবং বরাদ্দ পাওয়া তরঙ্গ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফোর জি সেবা চালু হবে।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি জানায়, নিলামের পর বর্তমানে গ্রামীণের হাতে তরঙ্গ আছে ৩৭ মেগাহার্টজ, রবি ৩৬.৪ মেগাহার্টজ, বাংলালিংক ৩০.৬ ও টেলিটক ২৫.২। গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে তাদের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে গ্রামীণ ৪৫.০২ শতাংশ, রবি ২৯.৫৭, বাংলালিংক ২২.৩২ এবং একমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটকের শেয়ার মাত্র ৩.১ শতাংশ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসবি