Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফুটেজ হস্তান্তর করে তবেই ‘ছাড়া পেলেন’ পুলিশ কর্মকর্তারা


৭ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৫৯ | আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০১৯ ২১:০৮

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যার ঘটনার আলামত হিসেবে জব্দ হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়ে তারপর ছাড়া পেয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের দুই অতিরিক্ত কমিশনার। পূর্ণাঙ্গ সিসিটিভি ফুটেজের দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা পুলিশের এই দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন শেরে বাংলা হল অফিসে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই সিসিটিভি ফুটেজ হস্তান্তর করেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে হল অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে দেন। ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- হত্যার ফুটেজ চান শিক্ষার্থীরা, বুয়েটে ২ পুলিশ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই ভিডিও ফুটেজ তারা দেখতে চান। তারা আশঙ্কা করছেন, আলামত হিসেবে জব্দ হওয়া ভিডিও ফুটেজ বেহাত হয়ে গেলে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছাত্রলীগের নেতারা পার পেয়ে যেতে পারেন।

এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় আবরার হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় ৯ জনকে আটক করার তথ্য জানিয়ে শেরে বাংলা হলে শিক্ষার্থীদের সামনে ব্রিফিং করেন। এসময় আরেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেনও উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিং শেষ করে বের হতে চাইলে পুলিশের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শেরে বাংলা হল অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা প্রটোকলের সদস্যরা ওই দুই কর্মকর্তাকে হল অফিস থেকে বের করে আনতে চাইলে তারাও শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। এসময় পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রটোকলে থাকা কয়েকশ পুলিশ সদস্য হুইসেল বাজিয়ে লাঠিচার্জ করে হল অফিস থেকে দুই অতিরিক্ত কমিশনারকে বের করে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশ সদস্যদের হলের বাইরে বের করে দেন।

বিজ্ঞাপন

আবরারকে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ৯ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন— বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন এবং ছাত্রলীগ নেতা রবিন, মুন্না, তানভীরুল আরেফিন ইথান, অমিত সাহা ও আল জামি।

এছাড়া, শেরেবাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর রুমে আবরারকে পেটানো হয়, সেই রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী তিন ছাত্রলীগ নেতা পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপসম্পাদক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত সাহা, উপদফতর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মুজতাবা রাফিদ এবং সমাজসেবা বিষয়ক উপসম্পাদক ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতি মোশারফ সকাল।

এরই মধ্যে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামিউশ সানি স্বীকার করেছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এতে জড়িত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ও এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এ ঘটনা ‘তদন্ত’ করতে কমিটি গঠন করেছে ছাত্রলীগ। তিনি বলেন, আবরার হত্যায় ছাত্রলীগের কেউ বিন্দুমাত্র জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন-

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় ছাত্রলীগের ৯ নেতা আটক

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বুয়েটের আবাসিক হলে শিক্ষার্থীর মৃতদেহ, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

আবরার হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জড়িত, স্বীকার বুয়েট সভাপতির

আবরারের জন্য সহপাঠীদের কান্না, দুপুর অবদি বুয়েটে আসেননি উপাচার্য

আবরার হত্যা আবরার হত্যাকাণ্ড পুলিশ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ ফুটেজ ফুটেজ হস্তান্তর সিসিটিভি ফুটেজ

বিজ্ঞাপন

বাসচাপায় ২ কলেজছাত্র নিহত
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর