রাজধানীতে ৮ ‘ডাকাত’ গ্রেফতার
২৮ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৮ | আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০৯:০৩
ঢাকা: বিভিন্ন স্বর্ণের দোকান, চালের আড়ত, মালামাল বোঝাই ট্রাক, বিভিন্ন গোডাউন ও শোরুমগুলোতে ডাকাতি করার অভিযোগে ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনকি এ দলের সদস্যরা নির্জন কোনো সড়কে গাছ ফেলে যাত্রীবাহী বাসেও ডাকাতি করত বলেন জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার (২৭ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতার হওয়া ডাকাতদলের সদস্যরা হলেন- মো. স্বপন, জলিল খান, জালাল হাওলাদার, মোজাম্মেল হক শিশির, মনির হোসেন, শহিদুল ইসলাম, সোহেল রানা ও এনামুল হক।
যুগ্ম কমিশনার বলেন, গত ২৮ জুন গভীর রাতে হাজারীবাগের গজমহলের কেবি মেটাল ওয়ার্কস নামীয় কারখানায় একদল ডাকাত দারোয়ান ও কর্মচারীদের অস্ত্রের ভয় দেখায় ও মারধর করে। এক পর্যায়ে হাত-পা বেধে ১৫ টন পিতলের স্কার্ফ (যা কাচাঁমাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়) লুট করে নিয়ে যায়। লুট করা মালামালের দাম ছিল প্রায় ৬০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, মালিকের অভিযোগ পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নেমে সোহেল রানা ব্যতীত সাত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। সাত ডাকাত পুলিশকে জানান, ডাকাতি করা ১৫ টন মাল সিলেটে বিক্রি করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, সিলেট মহানগরীর মোগলা বাজার গোটাটিকর মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ গোডাউন থেকে ডাকাতির সাড়ে ৫ টন মালসহ সোহেল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি তালা ভাঙ্গার কার্টার, দুইটি চাপাতি ও তিনটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
গত মে মাসের দিকে ঢাকা থেকে সিলেট মহাসড়কে ডাকাতদলের সদস্যরা একটি যাত্রীবাহী বাসেও ডাকাতি করেছে বলে জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার হওয়া ডাকাতদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জালাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ আটটি মামলা, স্বপনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা, সোহেল রানার বিরুদ্ধে চারটি মামলা, এনামুল হকের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা, মনির হোসেনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা, মোজাম্মেল হক শিশিরের বিরুদ্ধে দুইটি ও জলিল খানের বিরুদ্ধে তিনটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। প্রত্যেককে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মালামাল উদ্ধার হলে খুব শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে।