Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেনু হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে হৃদয়


২৪ জুলাই ২০১৯ ১৬:৩০ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ১৯:০৩

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতা হৃদয়কে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এই আদেশ দেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ইনস্পেকটর আব্দুল রাজ্জাক আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন দেন। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদীপক্ষে ছিলেন মাইদুল ইসলাম পলক, জাহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে এই মামলায় আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে পাঁচজনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাবে বলে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।

ওই রাতেই রেনুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫শ’ জনকে আসামি করা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গণপিটুনিতে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করে পুলিশ।

শুনানিতে যা বললেন হৃদয়

বাদীপক্ষের আইনজীবীরা মামলার শুনানিতে বলেন, আসামি যেভাবে ভিকটিমকে হত্যা করেছে দেশবাসী স্তব্ধ হয়ে গেছে। চার থেকে ৫শ’ জন আসামির মধ্যে এই আসামি হচ্ছেন মাস্টার মাইন্ড। ভিকটিমের পাঁচ বছর বয়সী শিশু এখনো জানে না তার মা গুজবের মধ্যে পড়ে মারা গেছে। বাচ্চাটা আজও তার মা’র জন্য অপেক্ষা করে আছে।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও বলেন, এটা শুধুমাত্র একটি গুজব নয়, একটি বড় ধরনের যড়যন্ত্র। এজাহারে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। হত্যার পরে আসামিকে যেন কেউ চিনতে না পারে সে জন্য তিনি মাথার চুল কেটে ফেলেছেন।

আদালত জানতে চান হৃদয়ের পক্ষে কোনো আইনজীবী আছেন কি না? তিনি জানান, তার পক্ষে কোনো আইনজীবী নেই। আদালত হৃদয়কে প্রশ্ন করেন কেন তিনি খুন করেছেন?

জবাবে হৃদয় জানান, এক মহিলা বলেন ওই নারী (ভিকটিম) ছেলেধরা। ওই মহিলা দাবি করেন, তার কাছে রেনুর ছবিও আছে। ছেলেধরাকে স্কুলের ২য় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেও তাকে মারা হয়। এরপর নিচে নামিয়ে এনে আরও মারা হয়।

‘এরপর আমিও মারতে শুরু করি। ওই মহিলার কথায় আমি মারছি’- বলেন হৃদয়।

আরও পড়ুন: গণপিটুনিতে রেনু হত্যার মূলহোতা হৃদয় গ্রেফতার

গণপিটুনি গুজব ছেলেধরা তাছলিমা বেগম রেনু হত্যা হৃদয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর