গুদামে ঢুকে মামলার আলামত চুরি, ২ পুলিশ বরখাস্ত
১৮ মার্চ ২০১৯ ১৮:৪৭ | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ১৮:৫৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম আদালত ভবনে জেলা পুলিশের আলামত রাখার গুদামে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর স্পর্শকাতর এই স্থাপনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দু’জন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনদিনের সরকারি বন্ধের পর সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে অভিনব কায়দায় আলামতের গুদামে (মালখানা) চুরির বিষয়টি ধরা পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা ও নগর পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে সংঘটিত যে কোন ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে মামলার যেসব আলামত ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন, সেগুলো পরবর্তীতে আদালতের মালখানায় জমা রাখা হয়। মামলার কার্যক্রম চলাকালে সেসব আলামত আদালতে উপস্থাপনের নিয়ম আছে।
জেলা পুলিশের পরিদর্শক বিজন কুমার বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘মালখানায় আমরা যে দু’টি তালা ব্যবহার করি, সোমবার সকালে এসে দেখা যায়, সেই দু’টি তালার বদলে অন্য দু’টি তালা ঝুলছে। মালখানার অফিসারের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে আমি দ্রুত সেখানে যাই। মালখানায় নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিল তাদের ডেকে আনি। কিন্তু তারা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকি।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পুরো আলামতখানা তছনছ অবস্থায় পাওয়া গেছে। বেশকিছু আলামত খোয়া গেছে। কী কী আলামত খোয়া গেছে, তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে সেটি নির্ধারণের কাজ চলছে।’
মালখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জেলা পুলিশের কনস্টেবল খলিলুর রহমান ও মো. মনিরুজ্জামানকে পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজন বড়ুয়া।
এদিকে আলামত রাখার গুদামে চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান ও স্থানীয় কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা চুরির ঘটনা নাকি এর পেছনে অন্যকিছু আছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। পিবিআই এবং সিআইডিও কাজ করছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেফতার করা হবে।’
ওসি মহসীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কি কি আলামত চুরি হয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে। এরপর মামলা হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন