স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট এর বেঞ্চ মঙ্গলবার দুপুরে আদেশের দিন ঠিক করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন ও নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলর নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলে বৈধতা চ্যালঞ্জ করে মঙ্গলবার রিট দায়ের করেন ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত হওয়া ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান, তার সঙ্গে ছিলেন আহসান হাবিব ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে আইনজীবী আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, গত ৯ জানুয়ারির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এখন যিনি প্রার্থী হবেন তিনি কিন্তু জানেন না তিনি ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে সেটা কিভাবে সম্ভব?
এ আইনজীবী বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারা অনুযায়ী ‘মেয়রের পদসহ কর্পোরেশনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, কর্পোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।’
কিন্তু দেখা যায় উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি মিলে কাউন্সিলর শতকরা পঁচাত্তর ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না।
এছাড়া আরও তিনটি যুক্তি তুলে ধরেন রিটকারীরা। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার সচিব উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে বিবাদি করা হয়েছে। আরেকটিতে প্রধান নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিবকে বিবাদি করা হয়।
সারাবাংলা/এজেডকে/এনএস/একে