Sunday 14 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আপিল নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে


১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:৪১ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:১০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল গ্রহণের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন গ্রহণ করেছেন আপিল বিভাগ। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।

আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে বলেও আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। অন্যদিকে আবেদনকারী আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

সকাল সাড়ে নয়টা থেকে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। প্রথমেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম যথা সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে এজলাস থেকে উঠে যান। পরে আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম উপস্থিত হলে পুনরায় এ মামলার শুনানি শুরু হয়।

শুনানিতে আমীর-উল ইসলাম মোবাইল কোর্টের প্রয়োজনীয়তা আছে উল্লেখ করে বক্তব্য দেন। এ সময় তার পকেটে থাকা মোবাইলের রিংটন বেজে উঠলে আদালত তার মোবাইলটিও সিজ (জব্দ) করেন। তিনিও হাসতে হাসতে মোবাইলটি আদালতের কাছে জমা দিয়ে দেন।

এ সময় আদালত বলেন, আইন সবার জন্য সমান। আপনার মোবাইল যদি না নেওয়া হয় তাহলে বলা হবে আপনার প্রতি খাতির করা হয়েছে।

এর কিছু সময় পর আরও একটি মোবাইল বেজে উঠলে সেটিও আদালত নিয়ে নেয়।

দীর্ঘ শুনানির পর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন গ্রহণ করে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করে দেন।

২০০৭ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অধ্যাদেশ জারি করে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর জাতীয় সংসদে এটিকে আইনে পরিণত করে। এরপর থেকে এটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন ২০০৯ নামে পরিচিত।

এই আইন অনুসারে ২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আবাসন কোম্পানি অ্যাসথেটিক প্রোপার্টিজ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

পরে ওই বছরের ১১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯) এর কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তিনি।

রিটের শুনানি নিয়ে একই বছর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে এ বিষয়ে আরও দুটি রিট হয়। তিন রিটে মোট ১৯ আবেদনকারীর শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

সেই রায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১১টি ধারা ও উপধারাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এরপর গত বছরের ১৪ মে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত ১৮ মে পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে বার বার সময় নেওয়ায় মোবাইল কোর্ট নিয়ে শুনানি পিছিয়ে যায়।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই/জেডএফ

 

আরও পড়ুন:

মোবাইল কোর্ট চলবে : অাপিল বিভাগ