Friday 19 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মার্কিন ‘সরকার অচলাবস্থা’, নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত ট্রাম্পের


২০ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৩৭ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:২৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

ইতিহাসের  দীর্ঘ ‘অচলাবস্থা’ নিরসনে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ডেমোক্রেটদের পক্ষ থেকে এখনো তেমন কোনো আশ্বাস পাননি তিনি। খবর বিবিসির।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, মধ্য আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে যেসব ‘ড্রিমারস’ অর্থাৎ ‘অবৈধ অপ্রাপ্তবয়স্ক’ আমেরিকায় এসেছে তাদের নিরাপত্তা আরও তিনবছর বৃদ্ধি করবেন তিনি। অভিবাসন সংক্রান্ত আইনি ঝামেলা মোকাবিলায় নিয়োগ দেওয়া হবে নতুন বিচারপতিদের। অচলাবস্থা দূর করতে তিনি আন্তরিক।

প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুসারে, ডিফ্রাড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড এরাইভালস (ডিএসিএ) ও টেম্পরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাস (টিপিএস) এর সুবিধা বৃদ্ধির বিনিময়ে ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য ৫.৭ বিলিয়ন ডলার সিনেট থেকে পাস করাতে চান। এতে ডেমোক্রেট সিনেটরদের সমর্থন প্রয়োজন তার। উদার অভিবাসনে বিশ্বাসী ডেমোক্রেটদের সাথে কট্টর রিপাবলিকান ট্রাম্পের ‘অভিবাসন’ নীতিতে বড় ধরনের দ্বিমত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবনা ‘অপর্যাপ্ত’ উল্লেখ করে শুরুতেই তা নাকচ করেছে দিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ন্যান্সি বলেন, এ ধরনের প্রস্তাবগুলো আরো আগেই  ‘বাতিল’ করা হয়েছে। এটা ড্রিমারসদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনা এমনকি কোন স্থায়ী সমাধানও নয়। সরকারি সেবাগুলো পুরোদমে চালু করার আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর শুরু হওয়া, চার সপ্তাহ ধরে চলমান ‘গভর্নমেন্ট শাটডাউন’ নামে এই অচলাবস্থার কারণে, যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কাজে নিয়োজিত প্রায় ৮ লাখ কর্মীর নিত্য দিনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, স্টেট, ট্রান্সপোর্টেশন, এগ্রিকালচারসহ ১৫টি বিভাগের রুটিন মাফিক বা রাষ্ট্রীয় সেবা কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা তাদের কাজের জন্য অর্থ পাবেন না নতুবা সাময়িক ছুটিতে যেতে হবে। তবে জরুরি সেবা হিসেবে জীবন ও সম্পদ রক্ষায় যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের পারিশ্রমিক পেতে দেরি হবে। এছাড়া অনেককে পাঠানো হয়েছে অস্থায়ী ছুটিতে।

কাস্টমস ও বর্ডার বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা থাকলেও শতকরা ৮০ ভাগ ন্যাশনাল পার্ক বন্ধ থাকছে। শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে পাঠানো হয়েছে। একই অবস্থা গৃহ-কর্মীদের ক্ষেত্রেও। ব্যাংকিং, রেভুনিউ সার্ভিস ও লোন ব্যবস্থা ধীরগতির হয়েছে। ফুড ও ড্রাগ ইন্সপেক্টররা রুটিন মাফিক কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। তবে জরুরি ও জন-গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকছে।

মার্কিন প্রশাসনের রাষ্ট্রীয় সেবা কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের বাকি ৭৫ ভাগ সরকারি সেবার ক্ষেত্রে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যাপ্ত সরকারি অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা আছে।

সারাবাংলা/এনএইচ