এটা ক্যামেরা ট্রায়াল হচ্ছে : মওদুদ
১১ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:৩১ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ১৮:৫৯
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলার বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এই কোর্টের মধ্যে কোনো সাধারণ মানুষ আসতে পারে না। এমনকি কিছু আইনজীবী কোর্টের মধ্যে ঢুকতে পারে না। রিকুয়েস্ট করে ঢুকতে হয়। এটা কোনো পাবলিক ট্রায়াল হচ্ছে বলে মনে করি না, এটা ক্যামেরা ট্রায়াল হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানিকালে বৃহস্পতিবার দুপুরে মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদার বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা করা হয়েছে। এটা কোনো ক্রিমিনাল মামলা নয়, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে মামলা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে এমন মুহূর্তে আরও ১৪টি মামলা এই কোর্টে পাঠানো হচ্ছে। যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। ১৪টি মামলা আনা হয়েছে, কেন আনা হয়েছে?
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা সম্পর্কে মওদুদ আহমদ বলেন, ট্রাস্টের কোনো অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা করা হয়েছে। এটি একটি অগ্রহণযোগ্য মামলা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ সম্পর্কে মওদুদ বলেন, ১৪ দিনের মধ্যে ওই কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দিলেন? এই হারুন অর রশীদটা কে? কমিশনার যাচাই-বাছাই না করে ওদেরকে নিয়োগ দিয়েছে।
সৌদি থেকে আসা অর্থ সম্পর্কে তিনি বলেন, কুয়েতের আমিরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সূত্রে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার শহীদ জিয়াকে দিয়েছেন ট্রাস্টের মাধ্যমে এতিম তহবিলে। এই অর্থ লেনদেনে খালেদা জিয়ার কোনো স্বাক্ষর নেই। একটা কাগজে কেউ দেখাতে পারবে না যে খালেদা জিয়ার সই রয়েছে। তাহলে এই মামলা থাকে কোথায়?
বৃহস্পতিবার নবম দিনের মতো খালেদা জিয়ার মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। বিকেলে শুনানি শেষ হয়।
আদালত মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন ১৬, ১৭, ১৮ জানুয়ারি।
সারাবাংলা/এআই/একে