Saturday 20 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিতে বাংলাদেশ


৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৪৭ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৫৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্পোর্টস ডেস্ক ।।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল আয়োজিত ইমার্জিং কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংকে হারিয়ে ছন্দে ফিরেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। রোববার (৯ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয় তুলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল মোসাদ্দেক-শান্তরা।

করাচিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান তোলে টাইগাররা। জবাবে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৫ ওভারে ২২৫ রানেই থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। তাতেই ৮৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সেমি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বের আগের দুই ম্যাচে আরব আমিরাত ও হংকংকে হারিয়ে সেমি নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।

বিজ্ঞাপন

আগের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শতক তুলে নিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। এবার স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষেও ৭৪ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।

বাংলাদেশের দেয়া ৩১০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি ওপেনার জিশান মালিক ৪৭ রান করেন। এছাড়াও অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪৬ রান করে আউট হন। আর শেষ দিকে ৫৮ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন খুশদিল শাহ।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন নাঈম হাসান। মোসাদ্দেক ও শফিউল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়াও আফিফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও তানভীর ইসলাম ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ২৫ রানে আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার মিজানুর রহমান (৪৮/১)। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান আরেক ওপেনার জাকির হোসেন, তার সঙ্গে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দু’জন মিলে ৯৮ রানের জুটি গড়েন। এরপর দলীয় ১৪৬ রানে ব্যক্তিগত ৬৯ রানে ফেরেন জাকির (১৪৬/২)। পাঁচ রানের ব্যবধানে আউট হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪৯ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত (১৫১/৩)।

এরপর একদিক থেকে দলের হাল ধরেন মোসাদ্দেক। দলীয় ১৬১ রানে আফিফ হোসেন (৮) আউট হলেও ইয়াসির আলীকে সঙ্গে করে এগিয়ে যেতে থাকেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু মোসাদ্দেকের সঙ্গে ১২৬ রানের জুটি গড়ে দলীয় ২৮৭ রানে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে আউট হয়ে ফেরেন ইয়াসির। আর শেষ দিকে অধিনায়ক নুরুল হাসানকে (৮) সঙ্গে করে ইনিংস শেষ করেন ৮৫ রানে অপরাজিত থাকা মোসাদ্দেক।

পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন খুশদিল শাহ। আর বাকি দুটি উইকেট নেন গোলাম মুদাসসের।

ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মোসাদ্দেক হোসেন।

সারাবাংলা/এসএন

বিজ্ঞাপন

আরো