Sunday 14 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আট বিভাগেই ১০০ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতাল হবে


১৭ জুলাই ২০১৮ ২১:৩১ | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮ ২১:৩৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় আটটি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ৮টি হাসপাতাল নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এতে করে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সময় ও অর্থ বাঁচবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ‘ক্যান্সার চিকিৎসায় সামাজিক অর্থনৈতিক বাধা দূর করতে মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি ও বাংলাদেশে হেলথ রির্পোর্টাস ফোরাম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় সুবিধা খুবই কম, এজন্য সুবিধা বাড়াতে হবে। বর্তমানে এনআইসিআরএইচ এ ৩০০ বেড রয়েছে যা ১৬ কোটি মানুষের চাহিদা মেটাতে অপ্রতুল। বাংলাদেশে প্রতি তিন হাজার ক্যান্সার রোগীর বিপরীতে মাত্র ১টি শয্যা বরাদ্দ আছে। তবে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে ৮টি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যা উপযোগী ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ফলে যতটুকু ঘাটতি আছে সেটা হয়ে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

দেশে ৬০ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে অসংক্রামক রোগে, এর মধ্যে ক্যান্সার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এর জন্য পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত সচেতনতা জরুরি। কারণ ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর পানি দূষণ, ইটভাটার পরিবেশ দূষণ এবং মানুষের লাইফস্টাইলের পরিবর্তন ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অনেকাংশে দায়ী। প্রাথমিক স্তরে রোগ সনাক্তের মাধ্যমে চিকিৎসা নিলে সুস্থ থাকা সম্ভব। এজন্য সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।’

মন্ত্রী আরো জানান, ‘দেশে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ বাড়লেও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, ভারত পাকিস্তানের তুলনায় দেশের স্বাস্থ্যখাত অনেক দূরে এগিয়ে গেছে। মূলত সরকারের হেলথ সেক্টর কাজ করছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা পোলিও, টিটেনাস, রাতকানা নির্মূলে সক্ষম হয়েছি। ডায়রিয়ার প্রকোপ কমিয়েছি। কিন্তু অসংক্রামক রোগ ক্যানাসারের চিকিৎসায় অবকাঠামো ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, যন্ত্রপাতি ও জনবলসহ অনেক কিছুই ঘাটতি আছে। এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দনি ফারুক, প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ক্যান্সার এপিডেমোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জহিরুল ইসলাম।

এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোয়াররফ হোসেন, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটর মহাসচিব ডা. এস এম আব্দুর রহমান, রস বাংলাদেশের হেড অব মেডিকেল ডা. ফারজানা হকসহ প্রমুখ।

সারাবাংলা/জেএ/এমও

বিজ্ঞাপন

আরো