Wednesday 31 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যেখানেই চোখ যায় সেখানেই জনসমুদ্র

উজ্জল জিসান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:০৪ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:১০

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল।

ঢাকা: যেখানেই চোখ যায় সেখানেই মানুষ আর মানুষ। যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে গোটা ফার্মগেট এলাকা। সবার একটাই উদ্দেশ্য বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা করা। যেদিক থেকেই রাস্তা শুরু হয়েছে সেদিক থেকেই স্রোতের মতো মানুষ আসছে। সড়ক, মহাসড়ক, অলিগলি সব জায়গায় মানুষের স্রোত। যে যেখানে পারছে জানাজায় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। তবুও জায়গা হচ্ছে না। এক পর্যায়ে মেট্টোরেলে প্লাটফর্ম ও টিকিট কাউন্টারের আশপাশে যতটুকু জায়গা খালি আছে সেখানেও দাঁড়িয়ে গেছে সাধারণ মানুষ।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার পর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের আশপাশের এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

ফার্মগেট মেট্রোরেল থেকে তোলা ছবি। ছবি: সারাবাংলা

মতিঝিল থেকে উত্তরাগামী মেট্টোরেলে উপচে পড়া ভিড় সামলে কোনোরকম উঠে এসে ফার্মগেটে নামছেন। আবার উত্তরা থেকে একেবারেই ঠাসা মানুষ এসে বিজয় সরণি ও ফার্মগেটে নামছে। ফার্মগেট স্টেশনে নামার পর তিল ধারণের ঠাই নাই দাঁড়ানোর। পুরো স্টেশন জুড়ে জানাজার নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে গেছেন মানুষেরা। সড়কেও জায়গা নেই। একই অবস্থা বিজয় সরণি স্টেশনেও।

বিজ্ঞাপন

ফার্মগেটের আশপাশের সড়ক, অলিগলি শুধু মানুষ আর মানুষ। মানুষ দাঁড়িয়েছে চীন মৈত্রি সম্মেলন কেন্দ্রের সড়ক থেকে বিজয় সরণি হয়ে খেজুর বাগান পর্যন্ত। বিজয় সরণি স্টেশনের নিচ থেকে তেজগাঁও লিঙ্ক রোড পর্যন্ত। মানুষ দাঁড়িয়েছে বিজয় স্মরণীর চার রাস্তা মোড় থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত। ফার্মগেট থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ হয়ে ধানমন্ডি পর্যন্ত। চারদিক থেকে আসছে জনস্রোত।

মেট্রোরেল স্টেশনেও জানাজায় দাঁড়িয়েছে মানুষ। ছবি: সারাবাংলা

গণমাধ্যম ‘ঢাকা ট্রিবিউনের’ সিনিয়র রিপোর্টার কামরুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থেকে আগারগাঁওয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘মিরপুর সড়কের শ্যামলী থেকে আসাদগেট পর্যন্ত অন্তত ৭/৮ লাখ মানুষ এসেছে। এখনো স্রোত যাচ্ছে। আগারগাঁওয়ের যে এতবড় সড়ক রয়েছে সেখানে জনস্রোত দেখেছেন তিনি।’

মতিঝিল থেকে এসেছেন আনিসুল ইসলাম। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘তার জীবনে এতো মানুষ কোনো জানাজায় হয়েছে তা দেখেন নি। খালেদা জিয়ার জানাজায় শরীক হতে এসেছেন কালের সাক্ষী হতে।

আসলাম মিয়া এসেছেন উত্তরা থেকে। বিজয় স্মরণীতে তিনি বলেন, ‘জনস্রোত দেখে তিনি হতভম্ব হয়েছেন। এত মানুষ তিনি এর আগে কখনো দেখেননি এমনকি কোথাও হয়েছে শোনেনওনি।’

সরেজমিনে দেখা যায়, শুধু সড়ক আর অলি গলি নয়, আশপাশের বাসা বাড়ির ছাদ, কক্ষ ও বিভিন্ন স্থাপনাতেও জানাজার জন্য দাঁড়িয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ভারত-পাকিস্তানসহ অন্যান্য রাষ্ট্র।

সারাবাংলা/ইউজে/এনজে
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর