পটুয়াখালী: নিরাপদ ও মানসম্মত মুরগির মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠী গ্রামে ব্রয়লার খামারিদের জন্য দিনব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) আরটিসি’র অর্থায়নে পরিচালিত ‘এএমআর (এন্টিমাইক্রোবায়াল রেজিসট্যান্স) প্রকল্প এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বরিশাল কার্যালয়ের উদ্যোগে
‘অ্যান্টিবায়োটিক-মুক্ত ব্রয়লার খামার ব্যবস্থাপনা’-শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই প্রশিক্ষণে কর্নকাঠি এলাকার নির্বাচিত ব্রয়লার খামারিরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের এফডিআইএল-এর প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মো. নুরুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. মো. ইব্রাহীম খলিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও পবিপ্রবির অধ্যাপক প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মোস্তফা আনোয়ার।
বিশেষ অতিথি ড. মো. নুরুল আলম বলেন, সঠিক টিকাদান ও খামার ব্যবস্থাপনায় অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই ব্রয়লার উৎপাদন সম্ভব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বর্তমান বিশ্বের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি। পোল্ট্রি শিল্পে অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে উন্নত জৈব-নিরাপত্তা, সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং প্রোবায়োটিক ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে লাভজনক উৎপাদন সম্ভব—এই প্রশিক্ষণ খামারিদের সেই বাস্তব পথনির্দেশনা দেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই খামারিরা শুধু উৎপাদনকারী হিসেবে নয়, বরং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকারীর ভূমিকায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুক। আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই সুস্থ মুরগি উৎপাদন সম্ভব, যা একদিকে খামারিদের খরচ কমাবে, অন্যদিকে ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর মাংস নিশ্চিত করবে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান নিরাপদ মাংস নিশ্চিত করতে খামার পর্যায়ে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনার ওপর গুরুত্ব দেন। প্রশিক্ষণে জৈব-নিরাপত্তা ও আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে হাতে-কলমে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী খামারিদের মাঝে সনদপত্র ও জৈব-নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।