এবারের অ্যাশেজের শুরু থেকেই ছিল বোলারদের দাপট। চতুর্থ টেস্টেও এর ব্যতিক্রম হলো না। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল রীতিমত পাগলাটে। একদিনে ২০ উইকেটের পতনে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড দুই দলই। প্রথম দিনশেষে ৪৬ রানের লিড নিয়েছে অজিরা।
৩-০ তে এগিয়ে থেকে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের সামনে এখন ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ক্রিজে টিকতে পেরেছে মাত্র ৪৫ ওভার ২ বল। জস টাংগের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৫২ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৪৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে অজিদের ইনিংস একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন টাংগ।
অজিদের হয়ে দলীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে মিচেল নেসেরের ব্যাট থেকে। ৮ নম্বরে নেমে তিনি করেছেন ৩৫ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছেন উসমান খাজা। অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাট থেকে এসেছে ২০ রান।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয়েছে মাত্র ২৯ ওভার ৫ বল। ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে মাত্র ১১০ রানে। পুরো ইনিংসে তিন অংক ছুঁয়েছেন মাত্র ৩ ইংলিশ ব্যাটার। দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান এসেছে হ্যারি ব্রুকের ব্যাট থেকে।
ব্যাট হাতে অজিদের রক্ষার পর বল হাতেও দারুণ করেছেন নেসার। ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই ইনিংসের সেরা বোলার। বোলান্ড নিয়েছেন ৩ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ৪২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে অজিরা। প্রথম দিনশেষে বিনা উইকেটে ৪ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
এমসিজিতে আজ দর্শক উপস্থিতি ছিল ৯৪১৯৯, এই মাঠে কোনো ক্রিকেট ম্যাচে যা সর্বোচ্চ। ভেঙে গেছে ২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনালে ৯৩০১৩ জন দর্শকের আগের রেকর্ড।
আজ একদিনে হয়েছে ২০ উইকেটের পতন, এই মাঠে টেস্টের এক দিনে এর চেয়ে বেশি উইকেট পড়েছে কেবল একবারই। সেই ১৯০২ সালের প্রথম দিন অ্যাশেজেই ম্যাচের প্রথম দিন পড়েছিল ২৫ উইকেট। এখানে একদিনে ২০ উইকেট পতনের ঘটনা আছে আরও দুই দফায়।