চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় ক্রমাগত কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, ‘শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।’
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এদিন ৬টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গায় ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার ফলে এ জেলায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। সেই সাথে মাঝারি ধরনের কুয়াশা বিরাজ করছে।
এর কারনে মানুষের স্বাভাবিক কর্মজীবন ব্যাহত হচ্ছে। শীতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান আরও জানান, এখন থেকে এ জেলায় তাপমাত্রা ক্রমাগত কমতে থাকবে। সেই সাথে বাড়বে শীত এবং চলতি মাসের শেষ এবং জানুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে মাঝারি থেকে তীব্র আকারের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।