নোয়াখালী: জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের জাগলার চর দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জন। সামছুদ্দিন ওরফে কোপা সামছু (৫৫) নামে আরও এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গোলাগুলির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী জাগলার চরের জঙ্গল থেকে থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, জাগলার চরে বর্তমানে কয়েক শত ভূমিহীন পরিবার বসবাস করছে। চরের অর্ধেক জমি খাস এবং অর্ধেক ব্যক্তি মালিকানা বা বয়ার সম্পত্তি। কিন্তু দীর্ঘদিন পর্যন্ত হাতিয়ার হরণি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিক, ফরিদ কমান্ডার (মেম্বার) এর নেতৃত্বে সামছুদ্দিন চরের জমি দখল করে প্রতি একর ২২ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করে ভূমিহীনদের কাছে বিক্রি করে। কিন্তু হঠাৎ করে গত কিছুদিন বিক্রির টাকা মুশফিক ও ফরিদ কামন্ডারকে দিচ্ছে না। তারই জের ধরে মুশফিক ও ফরিদ আতাত করে মঙ্গলবার সকালে আলা উদ্দিন, শীর্ষ ডাকাত কাউয়া কামাল, নিজাম মেম্বার এর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অস্ত্রধারী চর দখলে যায়। এক পর্যায়ে চরে থাকা সামছুদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে তাদের গোলাগুলি শুরু হয়। এতে আলা উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।
গোলাগুলিতে টিকতে না পেরে সামছুদ্দিনের বেশিরভাগ লোক পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সামছুদ্দিন আলা উদ্দিনকে গুলি করে। পরে আলা উদ্দিনের লোকজন সামছুদ্দিন, তার ছেলে মোবারক, তার কর্মী জুম্মাসহ কয়েকজনকে গুলি, কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এতে সামছুদ্দিন, তার ছেলে মোবারক, কর্মী জুম্মাসহ তার ৫ জন নিহত হয়। এ দিকে বিকেলে আলা উদ্দিনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় নিহত সামছুদ্দিনের ছোট ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে সামছুদ্দিনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।