পিরোজপুর: পিরোজপুরে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে সুমনা আক্তার (১৮) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুমনা আক্তার পিরোজপুর সদর উপজেলার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাটকাঠি গ্রামের ফারুক সিকদারের মেয়ে। অভিযুক্ত অমিত হাসান (২৫) সদর উপজেলার শিক্ষা অফিস রোড এলাকার লুৎফর শেখের ছেলে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে সুমনা ও অমিতের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, অমিত হাসান দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন এবং যৌতুক দাবি ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। এসব কারণে দুই মাস আগে সুমনা তাকে তালাক দেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ঘটনার দিন রাত প্রায় ১০টার দিকে অমিত হাসান ছুরি নিয়ে সুমনার ঘরে ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় সে। সুমনার চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও ফের হামলার চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত অমিত। এ সময় সুমনার স্বজন ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য সুমনাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নিলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করা হয়, তবে সেখানে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নাসরিন জাহান বলেন, ‘সাবেক স্বামী কর্তৃক এক নারী ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।’