ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দলটি অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতেই হারিয়ে অ্যাশেজ ফিরিয়ে আনবে নিজ দেশে, সিরিজ শুরুর আগে এমন স্বপ্নই দেখছিলেন ইংলিশ সমর্থকরা। তবে সেরকম কিছু তো হয়ইনি, উলটো সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে বাজেভাবে হেরে এরই মধ্যে অ্যাশেজ হাতছাড়া করেছে বেন স্টোকসের দল। ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ইংল্যান্ড দলকে ঘিরে এবার উঠেছে নতুন বিতর্ক। ইংলিশ গণমাধ্যমের দাবি, সিরিজজুড়ে অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই দলের এমন দুর্দশা!
পার্থে মাত্র দুই দিনে ম্যাচ হেরেছিল ইংল্যান্ড। ব্রিসবেনে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চতুর্থ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছে খেলা। অ্যাডিলেডে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের আগে বেশ লম্বা একটা বিরতি পেয়েছিল দুই দলই।
সেখানেই বেঁধেছে বিপত্তি। ওই সময় কুইন্সল্যান্ডের উপকূলে চার রাত কাটান ইংলিশ ক্রিকেটাররা। বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি ইংলিশ গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, কুইন্সল্যান্ডের নুসা সৈকতে কাটানো সময়ের উল্লেখযোগ্য একটি অংশে মদ্যপান করেন কয়েকজন ইংলিশ ক্রিকেটার। শুধু তাই নয়, ব্রিজবেন টেস্টে হারের পরেও নাকি মদ্যপান করেছিলেন তারা!
এমন সংবাদের পর ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পরিচালক রব কি জানিয়েছেন, মদ্যপানের এই ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ‘অনেক সময় গণমাধ্যমে নানা ধরনের সংবাদ ছাপা হয়। সেটা সত্য নাও হতে পারে। তবে আমরা অবশ্যই ব্যাপারটি খতিয়ে দেখব। এমন ছবি যখন দেখা যায় যে, পাঁচ-ছয়জন বসে খাবার খাচ্ছে, তাদের মধ্যে দুয়েকজন মদপান করছে, এখানে আসলে কী ঘটেছে সেটা খুঁজে বের করা দরকার। দি সত্যিই কোনো ব্যাচেলর পার্টির মতো কিছু হয়ে থাকে এবং ছেলেরা পুরোটা সময় অতিরিক্ত মদ্যপান করে থাকে, তাহলে এমন কিছু গ্রহণযোগ্য নয়। আমি মদ্যপানের সংস্কৃতি সমর্থন করি না। আমি এটা পছন্দও করি না।’
মদ্যপানের এই অভিযোগ নিয়ে অবশ্য এখনো মুখ খোলেননি ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসসহ অন্য ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরা।
আগামী শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে শুরু হবে বক্সিং ডে টেস্ট। সিডনিতে সিরিজের ৫ম ও শেষ টেস্ট শুরু ৪ জানুয়ারি।