ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ ও গণভোট ঘিরে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিরা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে দিনব্যাপী নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ডিসি-এসপি, সব রেঞ্জের ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের কথা জানান তারা। একদিকে চিহ্নিত অপরাধীদের জামিন রোধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে একটি ‘মডেল নির্বাচন’ উপহার দিয়ে ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করাই এখন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য বলে জানান তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশে দেশের পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। দলমত নির্বিশেষে আমরা অন্যায়ভাবে কাউকে কিছু করতে দিব না।’
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ ও সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে কারও কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি না। আমরা যাদের গ্রেফতার করি তাদের ছাড়াতে দিনে বক্তব্য দেওয়া রাজনৈতিক নেতারা রাতে তদবির করেন।’
তারা আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা, বৈধ অস্ত্র জমা করা। নির্বাচনের বাজেটটা যেন সময় মতো পাই। নির্বাচনকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব গুজব ছড়ানো হয় সেগুলোও বন্ধ করা উচিত।’
অন্যান্য বিভাগের পুলিশ কমিশনাররা বলেন, আমরা সব স্ট্রেক হোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় করছি। এআই জেনারেটেড যেকোনো ছবি বা ভিডিও বন্ধ করার জন্য বিটিআরসিকে আহ্বান জানাচ্ছি। নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের পরে যদি সাজা দেওয়া হয় তাহলে এটা দেখে অন্য কেউ করার সাহস পাবে না। ২০২৬ সালের নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলেও জানান তারা।
তারা আরও বলেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কালু এবং কাঁকন এই দু’টি গ্রুপের সঙ্গে কেউ পারছে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ড্রোন প্রয়োজন হতে পারে। উপজেলা/জেলা পর্যায়ে আমরা যদি যৌথভাবে মহড়া দিই, তাহলে আশা করি কেউ অন্যায় কিছু করতে পারবে না।
তারা জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সব কাজ তাৎক্ষণিকভাবে করা হবে। অপরাধীদের ঢালাও জামিন বন্ধের বিষয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।