ঢাকা: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচনি সমঝোতার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সমঝোতা অনুযায়ী এসব আসনে জমিয়তের প্রার্থীরা তাদের দলীয় প্রতীক ‘খেজুর গাছ’ নিয়ে নির্বাচন করবেন এবং বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। ওই আসনগুলোতে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের খেজুর গাছ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সমঝোতার আওতায় থাকা আসনগুলো হলো— নীলফামারী-১ থেকে মাওলানা মো. মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, নারায়ণগঞ্জ-৪ থেকে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সিলেট-৫ থেকে মাওলানা মো. উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ থেকে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। এসব আসনে জমিয়তের প্রার্থীরা নিজস্ব প্রতীক ‘খেজুর গাছ’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমঝোতা অনুযায়ী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম অন্য কোনো আসনে প্রার্থী দেবে না।’ তিনি বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্ধারিত চারটি আসনে খেজুর গাছ প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘খেজুর গাছকে বিজয়ী করার মাধ্যমেই ধানের শীষের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।’
নির্বাচনি শৃঙ্খলা প্রসঙ্গে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের ঘোষিত প্রার্থীদের বাইরে কেউ বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের আর কোনো সুযোগ নেই বলেও তিনি স্পষ্ট করে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।’ তিনি নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি ‘ভয়াবহ ট্রানজিশন পিরিয়ড’ বা রূপান্তরকাল হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সময়কে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী ভয়ংকর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদসহ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর মাওলানা মো. উবায়দুল্লাহ ফারুক, মহাসচিব মাওলানা মো. মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী এবং উভয় দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
