ঢাকা: জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ১৭তম বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।
সম্প্রতি রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন খাতের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বছর ৪৫টি ভিন্ন ক্যাটেগরিতে ৪৫টি ব্র্যান্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয় মোস্ট লাভড ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ বা দেশের সেরা ব্র্যান্ডের সম্মানসূচক পুরস্কারটি। এছাড়াও ১৫টি ব্র্যান্ডকে দেওয়া হয় ‘ওভারঅল টপ ১৫ মোস্ট লাভড ব্র্যান্ডস অব বাংলাদেশ সম্মাননা। এই আসরে আমা কফি মোস্ট ইমার্জিং ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ শীর্ষক সম্মাননাটি অর্জন করে। এনসার্চ লিমিটেডের অংশীদারিত্বে আয়োজিত বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এ মোট ৬১ সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও, জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৪৫টি ক্যাটেগরিতে ২য় এবং ৩য় মোস্ট লাভড ব্র্যান্ডের নামও ঘোষনা করা হয় আয়োজনটিতে।
বাংলাদেশের ওভারঅল টপ ১৫টি ব্র্যান্ডের মধ্যে স্থানীয় ব্র্যান্ডগুল্যে আধিপত্য বজায় রেখেছে। এই বছর বেস্ট ব্র্যান্ডের মর্যাদা লাভ করেছে বিকাশ। আরএফএল হাউসওয়্যার এবং রাঁধুনি যথাক্রমে দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের খেতাব অর্জন করে।
এই তালিকায় ৪-১৫ নম্বরে থাকা অন্য ব্র্যান্ড গুলো হচ্ছে: ইস্পাহানী মির্জাপুর, গ্রামীনফোন, স্বপ্ন, ফ্রেশ আটা/ময়দা/সুজি, ক্লোজ আপ, সান সিল্ক শ্যাম্পু, ম্যাগি টু’ মিনিট নুডলস, এসিআই পিওর সল্ট, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড, প্রাণ ম্যাঙ্গো জুস, মোজো এবং রূপচাঁদা ফাটিফাইড সম্ভাবিন তেল। ব্র্যান্ড ইকুইটি ইনডেক্সের ভিত্তিতে ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগামী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করায় আমা কফিকে ‘মোস্ট ইমার্জিং ব্র্যান্ড অব বাংলাদেশ’ সম্মাননা দেওয়া হয়।
এই সম্মাননাটি সেই সকল ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে দেওয়া হয় যারা ব্যবসায়িক মূল্যে এবং ভোক্তার জীবনে অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে একটি অর্থপূর্ণ উচ্চতায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বছরের সেরা ব্র্যান্ড বাছাই করতে এনসার্চ লিমিটেড একটি জরিপ পরিচালনা করে। এই জরিপটি বাংলাদেশের আটটি বিভাগের শহর ও গ্রামীণ উভয় অঞ্চলে পরিচালিত হয়েছিল। সমান শতাংশের নারী ও পুরুষ নিয়ে মোট ১২,৪০০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এনসার্চ লিমিটেড এর পরিচালক খন্দকার আসিফ মাহমুদ এক বিস্তারিত আলোচনায় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এর মেথোডোলোজি ব্যাখ্যা করেন।
গালা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের দিনে ব্র্যান্ড মানুষের স্বপ্ন, সংস্কৃতি আর অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে। ভোক্তাদের চাহিদা বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্র্যান্ডকে দায়িত্ব, উদ্ভাবন আর বাস্তব উপকারের প্রতিশ্রুতি দিতে হয়। আজ আমরা শুধু বাজারে সফল ব্র্যান্ডকেই নয় যে ব্র্যান্ডকে লাখো মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরও ভালো করেছে তাদেরকেও সম্মান জানাচ্ছি। ব্যান্ডিং মানে দেশের উন্নয়ন- আমি চাই এই স্বীকৃতি ব্র্যান্ডগুলোকে আরও বড় লক্ষ্য, সাহসী ধারণা এবং বাংলাদেশের জন্য আরও মূল্য সৃষ্টির অনুপ্রেরণা দিক।’
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে উপস্থিত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে অনুপ্রাণিত ও সম্মানিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের হাত ধরে শুরু হয় বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ডের যাত্রা। এক দশকের অধিক সময়ের ধারাবাহিকতায় আয়োজনটি হয়ে উঠেছে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডিং সম্মাননা। দেশে প্রচলিত সেরা ব্র্যান্ডগুলোর একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় অর্জিত সাফল্যকে উদযাপনের লক্ষ্যেই বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড আয়োজিত হয়।