ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, ‘শহিদ হাদির পরিবারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সম্প্রসারিত পরিবারের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। আমরা মনে করি, তার পরিবার আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় পরিবারেরই অংশ। এই কঠিন সময়ে ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে যে সহযোগিতা তারা করেছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ওসমান হাদির সমাধিস্থলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানটি কেবল একটি দাফনস্থল নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানোর একটি প্রতীক। আপনারা জানেন, এখানে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি রয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একাধিক সন্তানও এখানে শায়িত আছেন। এই স্থানে শহিদ হাদিকে দাফনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সন্তানের প্রতি সম্মান জানিয়েছে।’
উপাচার্য আরও জানান, ‘হাদির দাফনের বিষয়ে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ সিন্ডিকেটের একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- পরিবারের সম্মতি নিয়ে শহিদ হাদিকে এই কবরস্থানে দাফন করা হবে। সিন্ডিকেট সভায় আবেগ ও গভীর সহমর্মিতার সঙ্গে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।’
তিনি এ সময় যারা দাফন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছেন- সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ইসলামের দৃষ্টিতে শহিদের মর্যাদা আলাদা। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসে শহিদের যে বিশেষ মর্যাদার কথা বলা হয়েছে, তার প্রতিফলন আমরা আজ এই আয়োজনের মধ্যেও অনুভব করেছি।’